শরিফুল হাসান: পদে অফিস সহকারী আবজাল কিংবা গাড়িচালক মালেকদের যদি শত কোটি টাকা থাকে, তাহলে সেখানে যারা ঘুষ খায় সেই আমলা বা ডিজিদের কতো হাজার কোটি টাকা? সারাজীবন দেখলাম চুনোপুটি অফিস সহকারী বা আবজালরা ধরা পড়ে কিন্তু তাদের বড় স্যারেদের কিছুই হয় না। কিন্তু কেন? কেন আজ পর্যন্ত কোনো ডিজি-সচিবদের কিছু হলো না? জানি কিছু হবে না কারণ তারাই আজ নীতি-নির্ধারক। আর আজকাল ঘুষখোরদের তো কোন অনুশোচনা দেখি না। বরং ঘুষখোর-দুর্নীতিবাজ ছোট কর্মচারীরা আত্মতৃপ্তিতে ভুগেন যে বড় স্যারদের তুলনায় তারা ফেরেশতা। এক দপ্তরে থাকা ঘুষখোররা দাবি করেন, তারা ভালো। কারণ তাদের তুলনায় আরেক দপ্তর বা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বেশি ঘুষ খায়, বেশি দুর্নীতি করে! এসব শুনে অবাক হতেও খুলে যাই।
এই যে গাড়ি চালক-অফিস সহকারীদের এতো টাকা না জানি আসলেই তাদের বড় দুর্নীতিবাজ স্যারদের কতো টাকা? স্বাস্থ্য দপ্তর-রাজউক-তিতাস-ওয়াসা সব জায়গায় ছোট ছোট কর্মচারীদের সম্পদ দেখে শুধু ভাবি তাদের বড় স্যারেরা কী পরিমাণ লুটপাট করে। আচ্ছা এই যে হাজার হাজার, লাখো কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয় কী শাস্তি হয় তাদের? আচ্ছা, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতি বন্ধ করা কী খুব কঠিন কাজ? কেন চাকরি শুরুর আগে প্রত্যেকের সম্পদের হিসাব নেওয়া হয় না? কেন বছর বছর তাদের সম্পদের হিসাব নেওয়া হবে না? এই দেশে সরকারি সম্পদ ইচ্ছমতো লুটপাট হবে, দুই টাকার জিনিষ দুই হাজার টাকা দিয়ে কেনা হবে, বিদেশভ্রমণের নামে লুটপাট হবে, তাও কারও শাস্তি হবে না? এগুলো কবে শেষ হবে? এসব দুর্নীতিবাজদের রুখতে না পারলে তো সৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ক্রমেই কোণঠাসা হয়ে পড়বে।
আমি জানি না এই দুর্নীতি-লুটপাটের শেষ কোথায়। লিখতে লিখতে ক্লান্ত লাগে। কোনো আশার আলো দেখি না। তবুও লিখি যদি কোনোদিন ঘুম ভাঙে নীতি নির্ধারকদের! যদি কোনোদিন উন্নয়নের বুলির বদলে তাদের মনে হয়, দেশটাকে এবার বাঁচাতে হবে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :