স্বকৃত নোমান: ড্রাইভার আব্দুল মালেক বাদলের কী সুন্দর চেহারা। সফেদ-শুভ্র ফতুয়া, লুঙ্গি, টুপি এবং সাদা চুল ও সহি দাড়ি। কী চমৎকার একজন ধার্মিক মানুষ। অথচ র্যাব কিনা এমন একজন মানুষকে গ্রেপ্তার করলো! ঢাকা শহরে তার দুটি সাততলা ভবন, নির্মাণাধীন একটি দশ তলা ভবন, জমি, গরুর খামার ও বিভিন্ন ব্যাংকে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ গচ্ছিত অর্থের সন্ধান পাওয়া গেছে।
কী আশ্চর্য ব্যাপার! সম্পদ তো মানুষেরই থাকে, নাকি? আব্দুল মালেক বাংলাদেশের একজন নাগরিক। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন ড্রাইভার হয়ে তিনি এতো এতো সম্পদের মালিক হয়েছেন, এটা আমাদের গর্ব। দেশের গর্ব। জাতির গর্ব! এসব টাকা তিনি বিদেশে পাঠিয়ে দিলে আরো ভালো করতেন। তাতে দেশের সুনাম হতো। বিদেশিরা বলতো, ‘দেখেছো, বাংলাদেশের একজন ড্রাইভার কতো ধনী। না জানি গাড়ির মালিক কতো ধনী।’
আব্দুল মালেকের চেহারা-সুরত দেখে কতিপয় নাস্তিক, প্রগতিশীল (যারা আসলে দেশবিরোধী) বলবে, ‘আব্দুল মালেককে দুর্নীতি থেকে বিরত রাখতে পারেনি ধর্ম। পুঁজি আর ধর্ম পরস্পরের হাত ধরাধরি করে হাঁটে। ধর্ম কখনো মানুষকে সৎপথে আনতে পারে না। অসৎ লোক তার অসততা ঢাকতে ধর্মের লেবাস ধরে। যত অন্যায় তত ধর্ম।’ যারা এসব কথা বলে তাদের দেশ থেকে বহিষ্কার করে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত। তারা দেশের উন্নয়ন, মুসলমানদের উন্নয়ন সহ্য করতে পারে না। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :