মিজান লিটন: [২] চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল এমপি বলেছেন, মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করার কারণে ‘মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প’ এর বাধে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
[৩] এর আগে গত ১৫ বছরে আর দু’বার ভাঙন দেখা দেয়। আমি নির্বাচিত হওয়ার পরে ধনাগোদা বাধ এলাকায় বালু উত্তোলন বন্ধ করলেও পূর্বে বালু উত্তোলন করার জের এখন দেখা দিয়েছে। বাঁধের মেঘনা নদী এলাকার প্রায় ১৫ থেকে ২০ টি পয়েন্টে ভাঙনের ঝুঁকি রয়েছে।
[৪] শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলার মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা ধনাগোদা বেড়িবাধের ফরাজিকান্দি জনতাবাজার সংলগ্ন এলাকায় ভাঙন পরিদর্শনকালে সাংবাদকিদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।
[৫] এমপি বলেন, বাধ রক্ষায় ইতোমধ্যে আমি দু’টি পৃথক ডিপিপি দিয়েছি। সেগুলো এখনো অনুমোদন হয়নি। তবে এখন যেহেতু ভাঙন দেখা দিয়েছে এবং গণমধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিস্টদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে, আশকরি দ্রুত স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
[৬] রুহুল বলেন, ভাঙন দেখা দেয়ার পর স্থানীয় জনগণ দ্রুত সময় এগিয়ে এসে স্বেচ্ছায় কাজ করেছেন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডও কাজ করছেন। আমি উপজেলাবাসীকে আহ্বান জানাবো এখন থেকে কেউ যেন বাধের পাশে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করতে না পারে। আপনার সকলেই সতর্ক থাকবেন। বাঁধ রক্ষা করতে না পারলে ৫০ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হবে। বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হবে কৃষকরা।
[৭] এ সময় উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের এডিজি কাজী তোফায়েল আহম্মেদ, পানি উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লার চিফ ইঞ্জিনিয়ার জহির উদ্দিন আহমেদ, মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। সম্পাদনা: সাদেক আলী