সুলতান মির্জা: অপ্রিয় হলেও সত্যি যে বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজার সম্পূর্ণ আমদানি নির্ভর নয়, তবে ৩০ শতাংশ আমদানিনির্ভর। প্রাসঙ্গিক উদাহরণ বাংলাদেশে বর্তমানে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ২৩ লাখ ৩৪ হাজার মেট্রিক টন, বছরে আমাদের পেঁয়াজের চাহিদা মাত্র ২৪ লাখ মেট্রিক টন। অর্থ্যাৎ বাংলাদেশের পেয়াজের চাহিদার বিপরিধে উৎপাদন ঘাটতি মাত্র ৬৬ হাজার মেট্রিক টন। সব মিলিয়ে আমাদের উৎপাদন ক্রাইসিস হলো ৬৬ হাজার মেট্রিক টন। অথচ পরিস্থিতি এমন জায়গাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বাজারে পেঁয়াজের সংকট দেখলে যে কারও মনে হবে আমাদের সম্পূর্র্ণ পেঁয়াজ আমদানি করে খেতে হয়। তাই ইন্ডিয়া যখন পেঁয়াজের রপ্তানি বন্ধ করে তখনই লাঘামহীন হয়ে যায় আমাদের পেঁয়াজের বাজার। প্রশ্ন হচ্ছে ভারত আমাদের পেঁয়াজ দিলো কী না দিলো সেটা ধরে আমাদের পেঁয়াজের বাজারে ক্রাইসিস তৈরি করছে কারা? তাদের উদ্দেশ্য কী? তাছাড়া পেঁয়াজ উৎপাদক কৃষক, পেঁয়াজ বিক্রি করে কৃষক, পেঁয়াজ মজুদ করে ব্যবসায়ীরা, পেঁয়াজের মুনাফা করে কৃষক আর ব্যবসায়ীরা, সরকারের কী কী করার আছে?
হ্যাঁ, পরিস্থিতি যা প্রতিবছর একই সময়ে এসে পেঁয়াজের যা হয় সেটা থেকে মুক্ত হতে সরকারের উচিত পেঁয়াজ নিজেদের সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা করা, ঠিক যেভাবে ধান, চাল সংরক্ষণ করা হয়। অর্থ্যাৎ ব্যবসায়ী আর কৃষক দুই জায়গার উপর ভরসা বাদ দিয়ে পেঁয়াজের বাজার সরাসরি সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া উচিত। যদিও তখন হয়তো আবার এক শ্রেণির আবালেরা বিপ্লব করবে। কিন্তু এ ছাড়া প্রতিবছরের রুটিন মাফিক এই সমস্যা থেকে মুক্ত হওয়ার কোনো উপায় দেখছি না। ফেসবুক থেকে