সাদ্দাম হোসেন: [২] চোখের ঝাপসা দৃর্ষ্টি আর কপালে ভাজে স্পষ্ট বলি রেখায় বলে দেয় বয়স ৭০পেরিয়েছে শান্তি রাণীর। তবে জাতীয় পরিচয়পত্রে সঠিক বয়স না জানায় অনুমান করে বসানো হয়েছে কম।
[৩] বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছে দেহ। এই বয়সেও ভাগ্যে জোটেনি বয়স্ক কিংবা বিধবা ভাতা।বার বার স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছে গিয়েও হতাশা নিয়ে ফিরতে হয়েছে তাঁকে।
[৪] বুধবার সদর উপজেলার পুর্ব গোয়াল পাড়া মহল্লার মৃত আশিস বর্মণের স্ত্রী শান্তি রানীর বাড়িতে গেলে তিনি এ প্রতিবেদকের কাছে এমন অভিযোগ জানান।
শান্তি রানী বলেন, স্বামী মারা যাওয়ার ১৮ বছর পেরিয়েছে।
[৫] অন্যের বাসা-বাড়িতে কাজ করে একমাত্র ছেলেকে লেখা পড়া শিখিয়ে বড় করিয়েছি। সেই সন্তান এখন দেখেন না তাকে। বিয়ের পর অসুস্থ্য বৃদ্ধ মাকে ফেলে বউ নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করছে। এমন অসহায় হয়ে এক মুঠো আহারের জন্য বাড়ির পাশে এক হোটেলে কাজের সন্ধানে গেলে হোটেল মালিক বৃদ্ধ ভেবে তাকে কাজে নেয়নি। । বর্তমানে তিনি অসুস্থ্য হয়ে রোগ যন্ত্রণায় বিছানায় কাতরাচ্ছেন।
[৬] শান্তি রানীর ইচ্ছে জীবনে সায়াহ্নে এ সময়ে তিনি যেন একটি বিধবা ভাতা কার্ড পান সে জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি নিকট তার আকুল আবেদন।এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তিনি বৃদ্ধার বিষয়টি দেখছেন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ