শিরোনাম
◈ চট্টগ্রাম বন্দরে সাইফ পাওয়ার টেকের যুগের অবসান, এনসিটির দায়িত্বে নৌবাহিনী ◈ ১ ট্রিলিয়ন ডলারের খনিজের খেলায় তালেবান, পেছনে চীন-রাশিয়া-ইরান-ভারত! ◈ পাকিস্তানকে ঠেকাতে গিয়ে ভারতে বন্যা, তোপের মুখে কঙ্গনা (ভিডিও) ◈ ৫ আগস্ট লক্ষ্য ছিল গণভবন, এবার জাতীয় সংসদ: নাহিদ ইসলাম (ভিডিও) ◈ গাজীপুরে মহানগর বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার ◈ দেশের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় জনগণ ঐক্যবদ্ধ : মির্জা ফখরুল ◈ রেস্ট হাউজে ‘নারীসহ’ ওসি, আটক করে ‘চাঁদা দাবি’ ছাত্রদল নেতার, সিসিটিভির ফুটেজ ফাঁস ◈ আর একটি হত্যাকাণ্ড ঘটলে সীমান্ত অভিমুখে লংমার্চ: হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের ◈ ধামরাইয়ে ঋণ দেওয়ার কথা বলে গৃহবধুকে ধর্ষণ, আসামী গ্রেফতার ◈ গাজীপুরে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার বিএনপি নেতা স্বপন

প্রকাশিত : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১১:৩৬ দুপুর
আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১১:৩৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] কুড়িগ্রামে চতুর্থদফা বন্যা, ধরলার পানি বিপদসীমার উপরে

সৌরভ ঘোষ: [২] কুড়িগ্রামে চতুর্থ দফা বন্যার কবলে পরেছে মানুষ। অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে ধরলা নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে বুধবার সকালে ব্রীজ পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য নদ-নদীগুলো এখনো বিপদসীমান নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। হঠাৎ করে ধরলা নদীতে পানিবৃদ্ধির ফলে পানিবন্দি হয়ে পরেছে ৫ হাজার পরিবারের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। এছাড়াও বন্যায় ১০০ হেক্টর আমন ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

[৩] একদিকে নদনদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, অপরদিকে বিভিন্ন এলাকায় চলছে তীব্র ভাঙন। এই মূহুর্তে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের সারডোব গ্রামের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৩০ মিটার অংশ ভেঙে অন্তত ১০টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। তিস্তা নদীতে তীব্র ভাঙন চলছে উলিপুরের থেতরাই, চর বজরা ও গাইবান্ধা জেলার বিচ্ছিন্ন অঞ্চল কাশিমবাজারে। এখানে যোগাযোগের একমাত্র পাকা সড়কের তিন মিটার নদীগর্ভে চলে গেছে। এছাড়াও চারটি বাড়ি নদীগর্ভে গেছে। ভাঙনের মুখে রয়েছে আরো ৩০টি বাড়ি। বুধবার সকালে ভাঙনের কবলে পরেছে নজরুল মাস্টার, আব্দুল মোতালেব, মনির হোসেন ও মনিরাম মুছির বাড়ি। ধরলার ভাঙনে হুমকীর মুখে রয়েছে সদর উপজেলার মোগলবাসা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ।

[৪] কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবাহী প্রকৌশলী মো.আরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, উজানে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় আগামী ২-৩ দিন পানি আরো বাড়ছে পারে। এরপর পানি কমবে। এছাড়া নদী ভাঙন প্রতিরোধে বিভিন্ন এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

[৫] কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান জানান, ধরলা নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদী তীরবর্তী ১০০ হেক্টর আমন ফসল নিমজ্জিত হয়েছে।

[৬] জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, হঠাৎ করে ধরলা নদীতে অস্বাভাবিক পানিবৃদ্ধি হয়েছে। পানিবৃদ্ধির ফলে আবার বন্যার কবলে পরেছে ধরলা নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ ও বিভিন্ন ফসলাদি। সংশ্লিষ্ট বিভাগকে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের জন্য বলা হয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়