রাহুল রাজ : [২] বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ রাসেল ডমিঙ্গো চান তাঁর সহকারী কোচ হিসেবে স্থানীয় কোনো কোচ যেন থাকেন। ২০২৩ বিশ্বকাপের পর যাতে স্থানীয় কোচের হাতে জাতীয় দলের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হতে পারে। জাতীয় দলের সহকারী কোচ হওয়ার মতো অনেকেই ঢাকায় আছেন বলে মনে করেন জাতীয় দলের কোচ ডমিঙ্গো।
[৩] কার্যত স্থানীয় কোচরা নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছেন দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে। বিশেষ করে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এবং ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) তাঁদের সাফল্যে মুগ্ধ টাইগারদের কোচ।
[৪] বাংলাদেশ ঘরোয়া ক্রিকেট তথা বিপিএল, এনসিএল, বিসিএল এবং ডিপিএলে স্থানীয় কোচদের মধ্যে অনেকেই সফল। একমাত্র বিপিএল বাদ দিলে বাকি সব ঘরোয়া ক্রিকেট আসরে স্থানীয় কোচরা প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেন। স্থানীয় সফল কোচদের তালিকায় নাম আসবে মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, জাফরুল এহসান, মিজানুর রহমান বাবুল, মাহবুব আলী জাকি এবং ফয়সাল হোসাইন ডিকেন্সদের নাম। তাঁদের অনেকেই বিসিবির অধীনে কাজ করছেন এইচপি দল, বাংলাদেশ ‘এ’ দল এবং ইমার্জিং দলের হয়ে।
[৫] সর্বশেষ আইসিসি যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল চ্যাম্পিয়ন হয়। যে দলের সাপোর্ট স্টাফে ছিলেন বাংলাদেশী দুই কোচ। বোলিং কোচের দায়িত্বে ছিলেন মাহবুব আলী জাকি এবং ফিল্ডিং কোচ হিসেবে ছিলেন ফয়সাল হোসাইন ডিকেন্স।
[৬] দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে হওয়া এ যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের বোলিং এবং ফিল্ডিং ছিল দুর্দান্ত। এ দুই কোচের কাজেও সন্তুষ্ট বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তাঁদের এই সাফল্য দেখে স্থানীয় কোচদের যুব দলের দায়িত্ব দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে বিসিবি।
[৭] বেশ কিছু দিন ধরে বিকেএসপিতে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অনুশীলন ক্যাম্প চলছে , যে দলের ব্যাটিং কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার মেহরাব হোসেন অপিকে, বোলিং কোচ হিসেবে রাখা হয়েছে সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার তালহা জুবায়েরকে।
[৮] ঘরোয়া ক্রিকেটে স্থানীয় কোচদের তালিকায় নতুন কিছু নামও যোগ হয়েছে। সেই তালিকায় আছেন রাজিন সালেহ, আফতাব আহমেদ, সৈয়দ রাসেল, ডলার মাহমুদ এবং তালহা জুবায়ের। জাতীয় দলের সাবেক এই তারকা ক্রিকেটাররা কোচ হিসেবেও আলো ছড়াতে শুরু করেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে লিজেন্ড অব রূপগঞ্জের প্রধান কোচ ছিলেন আফতাব আহমেদ। সেবার তাঁর দল রানার্সআপ হয়েছিল।
আপনার মতামত লিখুন :