নওগাঁ প্রতিনিধি: [২] এক ব্যবসায়ীকে মারধরে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
[৩] সোমবার দুপুরে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির রহমান।
[৪] সাব্বির রহমান জানান, ছাত্রলীগের ওই নেতার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর সংগঠন থেকে গত ১০ সেপ্টেম্বর কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। তিন দিনের মধ্যে তাকে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তিনি তার জবাব দেননি। ব্যবসায়ীকে মারধরের ভিডিও ছাত্রলীগকে বিব্রত করেছে।
[৫] এর আগে, মহাদেবপুর উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার ব্যবসায়ী সোহেল রানা বাদী হয়ে ৬ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগ নেতা রাজু আহমেদসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৬-৭ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মারধরের অভিযোগে থানায় মামলা করেন। এজাহারে বলা হয়ে ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বাদীর দোকানে ঢুকে তাকে মারধর করে তুলে নিয়ে যান উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ ও সঙ্গীরা।
[৬] এ ঘটনায় গত রোববার ব্যবসায়ী সোহেলের দোকানের সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে তা ভাইরাল হয়ে যায়।
[৭] ভিডিওতে দেখা যায়, দোকানে ঢুকে সোহেল রানাকে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় মারছেন এক যুবক। সেখানে রাজু আহমেদসহ আরও একজনকে দেখা যায়। আরও অনেকের কথা বলার আওয়াজ পাওয়া গেলেও তাদের ভিডিওতে দেখা যায়নি।
[৮] ব্যবসায়ী সোহেল রানা অভিযোগ করে বলেন, চাঁদা চেয়ে না পেয়ে রাজু আহমেদ ও তার লোকজন দোকানে ঢুকে আমাকে মারধর করেন। তারা দোকানের ক্যাশ বাক্স থেকে দেড় লাখ টাকা, কয়েকটি স্মার্টফোন ও একটি মোটরসাইকেল ছিনতাই করে নিয়ে যান। মামলার পর আট দিন পেরিয়ে গেলেও রাজু ও তার সঙ্গীরা গ্রেপ্তার হননি। এখনো তারা বিভিন্নভাবে আমাকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। মামলা তুলে নিতে চাপ দিচ্ছেন।
[৯] এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত রাজু আহমেদের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
[১০] মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, মামলার পর থেকে রাজু আহমেদ ও নয়ন পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :