শিরোনাম
◈ ইসরায়েলি হামলায় ৪৩৭ ফুটবলারসহ ৭৮৫ ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদের মৃত্যু ◈ পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরায়েলিদের সাথে তাদেরই সেনা জড়ালো সংঘর্ষে! (ভিডিও) ◈ আমদানি-রপ্তানিতে এনবিআরের নতুন নিয়ম: বাধ্যতামূলক অনলাইন সিএলপি দাখিল ◈ জুলাই স্মরণে শহীদ মিনারে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন (ভিডিও) ◈ জুলাই বিদ্রোহ: কোটা সংস্কার থেকে গণঅভ্যুত্থান ◈ ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা বললেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল ◈ ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন ◈ ১৮ জুলাই নতুন দিবস ঘোষণা ◈ ডিসি-এসপি কমিটি ও ইভিএম বাদ, ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নতুন নীতিমালা জারি করলো ইসি ◈ বাংলাদেশে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স: কীভাবে পাবেন, কী কী শর্ত মানতে হবে?

প্রকাশিত : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৮:০২ সকাল
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৮:০২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ‘কর শনাক্তকরণ নম্বর’ ছাড়াই সঞ্চয়পত্র পাবেন বন্ধ ঘোষিত রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকরা

সোহেল রহমান : [২] ‘বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন’ (বিজেএমসি)-এর আওতাধীন ২৫টি পাটকল গত ১ জুলাই থেকে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। এসব মিলের শ্রমিকরা তাদের পাওনা টাকার অর্ধেক পাবেন নগদে, বাকি অর্ধেক পাবেন তিন বছর মেয়াদি তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে।

[৩] বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, ১ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনলেই দকর শনাক্তকরণ নম্বর’ (টিআইএন) থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অধিকাংশ শ্রমিকেরই টিআইএন নেই। তাই পাটকল শ্রমিকদের পাওনার অবশিষ্ট অর্থ টিআইএন ছাড়াই সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে প্রদান করা হবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে অনেক শ্রমিকের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও ব্যাংক একাউন্ট নেই। নতুন করে এগুলো যোগাড় করাও সময়সাপেক্ষ।

[৪] অন্যদিকে তিন বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ও সর্বনি¤œ সীমা রয়েছে। ফলে এ সীমার বাইরে যারা থাকবেন, তাদের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সীমার অতিরিক্ত সঞ্চয়পত্র ইস্যু করা নিয়ে জটিলতা দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন শ্রমিকরা। আবার ৫ লাখ টাকার বেশি হলেই মুনাফার ওপর উৎসে কর পরিশোধ করতে হবে ১০ শতাংশ হারে। পাটকল শ্রমিকদের জন্য তা বহন করা কষ্টকর।

[৫] জানা যায়, ২৫টি পাটকলের মধ্যে ইতোমধ্যেই ‘করিম জুট মিল’-এর স্থায়ী শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করতে ২২৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে অর্থ বিভাগ। এই বরাদ্দে ২ হাজার ৩৭১ জন শ্রমিক তাদের পাওনা টাকা পাবেন। এর মধ্যে ২ হাজার ১৮২ জনের পাওনা ২ লাখ টাকার বেশি।

[৬] বরাদ্দ পত্রে বলা হয়, তাদের টাকা ৫০ শতাংশ নগদে দেয়া হবে এবং বাকিটা সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে। মাত্র ১৮৯ জন শ্রমিকের পাওনা ২ লাখ টাকার মধ্যে। তারা টাকা পাবেন এককালীন তথা নগদ। পত্রে বলা হয়, এ শ্রমিকেরা তাদের পাওনা টাকার অর্ধেক পাবেন তিন বছর মেয়াদি তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে। তা কিনতে হবে শুধু সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে। এদিকে চিহ্নিত কিছু শাখা ছাড়া সোনালী ব্যাংকের সব শাখায় সঞ্চয়পত্র কেনার ব্যবস্থা নেই।

[৭] জানা যায়, সোনালী ব্যাংকের যেসব শাখায় সঞ্চয়পত্র কেনার ব্যবস্থা নেই, সেসব শাখা অন্য কোনো শাখার পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে সঞ্চয়পত্র সরববরাহ করতে পারবে এমন চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়