এসএম শামীম: [২] জেলার আগৈলঝাড়ায় উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রামের দারুল ফালাহ প্রি-ক্যাডেট একাডেমীর তৃতীয় শ্রেনির ছাত্রী নোহা আত্মহত্যা করেছে মানতে নারাজ গ্রামবাসি ও স্বজনরা। গ্রামবাসির কাছে আত্মহত্যার বিষয়টি রহস্যজনক।
[৩] তারা অভিযোগ করেন শিশুটিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে আসল রহস্য উদঘাটনের দাবি জানান। নুসরাত জাহানের বাবা মোঃ সুমন মিয়া মামলায় উল্লেখ করেন, আমার মেয়ে নুসরাত জাহান (৯) দারুল ফালাহ প্রি-ক্যাডেট একাডেমীতে পড়াশোনা করে। করোনার মধ্যে স্কুল খুলে এবং সাময়িক পরীক্ষা নেন কর্তৃপক্ষ । পরীক্ষায় আমার মেয়ে ফেল করায় গত বুধবার পাঠকক্ষে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. সফিকুল ইসলাম মেয়েকে গালিগালাজ করে এবং বেত দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে।
[৪] স্কুল ছুটির পরে মেয়ে বাড়িতে অপমান সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খাজুরিয়া গ্রামে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্কুল ছাত্রী নুসরাত জাহানের আত্মহত্যার বিষয়টি রহস্যজনক। গ্রামবাসি কোন মতেই আত্মহত্যা মানতে নারাজ।
[৫] তাদের মতে, এটি আত্মহত্যা নয়, পরিকল্পিতভাবে হত্যা। কারন শিশুটি যেখানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সেখানে ওঠা শিশুর পক্ষে সম্ভব নয়। স্কুল ছাত্রী নুসরাত জাহানের জন্মদাতা মা তানিয়া আক্তার বলেন, আমার মেয়েকে তার সৎ মা ও বাবা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চলিয়েছে। নুসরাত আত্মহত্যা করেনি সম্পত্তি থেকে তাকে বঞ্চিত করতে সৎ মা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আত্মহত্যা বলেছে। সম্পাদনা: সাদেক আলী