রাশিদ রিয়াজ : প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঘনঘটা ও কোভিড মন্দা ঠেলে ধনী মার্কিনীরা ক্যারিবিয় দ্বীপপুঞ্জকেই অবকাশের জন্যে বেছে নিচ্ছেন। গত কয়েকমাসে নাগরিকত্ব পরামর্শক, সরকারি সংস্থা ও রিয়েল এস্টেট ডেভলপাররা দেখতে পাচ্ছেন বিলাসি মার্কিনীরা ছুটছেন ক্যারিবিয় দ্বীপপুঞ্জের দিকেই। ফোর্বস বলছে এধরনের ধনী মার্কিনীদের ওই দ্বীপপুঞ্জে গমন পূর্বের চেয়ে অন্তত ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফোর্বসকে ডোমিনিকার একটি বিখ্যাত রিসোর্টের মালিক গ্রেগর নাসিয়েফ বলেন শুধু কোভিড পরিস্থিতির কারণে নয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল কি হয় এবং নির্বাচন ভীতিও তাদের মধ্যে কিছুটা কাজ করায় অবকাশ যাপনকেই তারা বেছে নিচ্ছেন।
ক্যারিবিয় রিসোর্ট মালিকরা বলছেন মার্কিন ধনীদের দীর্ঘদিন অবস্থানের হার বৃদ্ধি পেয়েছে ৬৬ শতাংশ। হোয়াইট বে, জস্ট ভ্যান ডিক ও ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে বিকিনি পরিহিতা সুন্দরী রমনীরা রোদ পোহাচ্ছেন। রেঞ্জ ডেভলভমেন্ট নামে বিলাসবহুল এক পর্যটন কোম্পানির মালিক আসারিয়া জানান, কোভিড বা নির্বাচন যাই বলুন না কেনো তারা আসলে নিজেকে এধরনের পরিস্থিতি থেকে একটু লুকাতেই এখানে আসছেন। ক্যারিবিয় দ্বীপপুঞ্জের দি এজেন্সির সিইও মাউরিচিও উমানস্কি বলেন তাদের আগমনে রিসোটের ভাড়াও বৃদ্ধি পেয়েছে। ‘সিঙ্গেল ফ্যামিলি হোম’ থেকে শুরু করে কনডো ধরনের ফ্লাটের ভাড়া ও ব্রিক্রি দুই বেড়েছে। সথেবি’র ইন্টারন্যাশনাল রিয়েলিটি প্রতিবেদনেও এধরনের পর্যটকের সমাগম বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে।
এই সুযোগে বার্বাডোসে কিছু বাড়ি ১২ মাসের জন্যে ভাড়ায় বিশেষ ছাড় চলছে। ফলে অনেক পর্যটক নিরবে নিভৃতে বেশ কিছুদিন এই দীপমালায় অবকাশ যাপন ও তাদের কাজ অব্যাহত রাখার সুযোগ গ্রহণ করছেন। রিয়েল এস্টেট ব্রোকার ক্রিস্টিন এরগট বলছেন ধনী মার্কিন নাগরিকদের আগমনে অন্যান্য প্রত্যন্ত অঞ্চলেও বেশ সাড়া পড়েছে যা এর আগে কখনো দেখা যায়নি। বরং ক্রমহ্রাসমান রিয়েল এস্টেট ব্যবসা চাঙ্গা হয়ে উঠেছে।