রাশিদুল ইসলাম : [২] তুরস্কের সাংবাদিক জামাল খাশোগজিকে হত্যার পর সৌদি যুবরাজ বিন সালমানকে সুরক্ষা দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিষয়টি দম্ভ করেও বলেন তিনি। মার্কিন অনুসন্ধানী সাংবাদিক বব উডওয়ার্ডের প্রকাশিতব্য একটি বইতে উঠে এসেছে এসব তথ্য। ১৫ সেপ্টেম্বর উডওয়ার্ডের বইটি প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। স্পুটনিক
[৩] ট্রাম্প বলেন, বিন সালমানকে আমি তাকে রক্ষা করেছি। তাকে ছেড়ে দিতে আমি কংগ্রেসকে পাশে পেয়েছিলাম। যুবরাজের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে আমি তাদের থামিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিলাম। ‘আমি কংগ্রেসের হাত থেকে তাকে বিন সালমানকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছিলাম। আমি তাদের থামাতে সক্ষম হই। এছাড়া খাশোগজিকে হত্যার পর ট্রাম্প সাংবাদিক উডওয়ার্ডকে সেসময় বলেছিলেন, যুবরাজের নির্দেশে খাশোগজিকে হত্যা করা হয়েছে এটি তিনি বিশ্বাস করেন না।
[৪] যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্কসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে উঠে আসে যে, এ হত্যাকাণ্ডের জন্য বিন সালমানের সরাসরি নির্দেশ ছিল। তাকে হত্যার পর মার্কিন আইনপ্রণেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করলেও কংগ্রেসকে পাস কাটিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে অস্ত্র চুক্তি করেন ট্রাম্প। সৌদি আরব ও আরব আমিরাতকে ৮ বিলিয়ন ডলারের মিসাইল ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অস্ত্র বিক্রির চুক্তি করেন তিনি। এই অস্ত্র চুক্তি এবং ইয়েমেনে সৌদি-আমিরাতের অভিযানের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের তিনটি রেজুলেশন আটকে দেন তিনি।
[৫] যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট সাংবাদিক জামাল খাশোগজি বিয়ের কাগজপত্র সংগ্রহ করতে ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে যাওয়ার পর তাকে হত্যা করে মরদেহ খণ্ড বিখণ্ড করে এসিড দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়। বিশে^ এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা শুরু হলে যুক্তরাষ্ট্রের উভয় দলের আইনপ্রণেতারা তাতে সমর্থনও দেন।
[৬] প্রকাশিতব্য বইটির জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ১৮টি সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বব উডওয়ার্ড। তাকে করা ট্রাম্পের কিছু বক্তব্যের অডিও রেকর্ড বুধবার প্রকাশ হয়ে পড়ে। এর জেরে করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় ট্রাম্প প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে দেশটিতে নতুন রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে।