শিমুল মাহমুদ: [২] রোববার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নারায়ণগঞ্জে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ রোগীদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আগুন প্রধানমন্ত্রী লাগায়নি, কিন্তু তার দায়িত্ব সুষ্ঠু তদন্ত করা যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।
[৩] প্রত্যেক জেলায় বার্ন ইউনিট প্রতিষ্ঠা করার আহবান জানিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরি বলেছেন, আইসিইউয়ের চেয়েও বার্ন ইউনিট গুরুত্বপূর্ন। হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সরঞ্জাম না থাকায় সবাই কে ঢাকামুখী হতে হয় এতে পথেই অনেক রোগী মারা যায়।
[৪] বার্ন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন ও বার্ন ইউনিটের ডিরেক্টর প্রফেসর ডা. আবদুল কালামের সঙ্গে দেখা করেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন গণস্বাস্থ্যের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু।
[৫] তিনি বলেন, একটা হাসপাতালে মরফিন থাকবেনা; যেটার দাম ৩৫ টাকা। চিকিৎসকদের ব্যাসিক ট্রেনিং থাকবে না, এটা হয়না। আজকে রাস্তায় যে কোন সময় এক্সিডেন্ট হতে পারে, এক্সিডেন্ট হলে আগুন লাগতে পারে। এজন্য প্রত্যেকটা ডাক্তারের বার্নের চিকিৎসা জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।
[৬] জাফরুল্লাহ বলেন, ব্যবস্থাপনার একটা ভূল আছে। আমি যেটা দেখেছি, আমি সন্তুষ্ট। চিকিৎসকরা অনেক যত্ন নিয়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু একটা দূর্ভাগ্য হলো এটা বাংলাদেশের একমাত্র হাসপাতাল, কিন্তু এখানে আসার আগেই ৫০ পার্সেন্ট চিকিৎসা যেখান থেকে আসছে সেখানে পাওয়া দরকার ছিলো।
[৭] তিনি বলেন, আমার বয়স যখন অনেক কম ছিলো, যখন আমি বিলেতে প্র্যাকটিস করতাম। আমাদের কাজ ছিলো; বার্ণ রোগী যারা আসতো, সঙ্গে সঙ্গে একটা মরফিন ইনজেকশন দিয়ে দেয়া। কিন্তু এখানে যেটা হয়, তাকে ডাক্তার সাহেব লিখে দেন নিয়ে আসেন। ওষুধটার (মরফিন) দাম ৩৫ টাকা, এটা ৩০০/ ৩৫০ তে পাওয়া যায়। এটার দাম ৩৫ টাকাও হওয়া উচিত না। এটা জাতির জন্য দূর্ভাগ্য।
[৮] সরকারে ওষুধ নীতিতে এসবের দাম নির্ধারণ করা থাকলে এই একটা ইনজেকশনের দাম হতো ২০-২৫ টাকা। ২০-২৫ টাকা হওয়ার মানেই হলো গণস্বাস্থ্যের ৫ থেকে ১০ টাকা প্রফিট হওয়া। সেটা না করে এটা এখন ৩০০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হয়। একটা ৫০০ বেডের হাসপাতালে মিনিমাম ৩০ হাজার ইনজেকশনের পারমিশন থাকা উচিত। কারণ আসার সাথে সাথে ইনজেকশন টা দিতে হয়। মরফিনে আবার হার্ট টাকে বাচায়।
আপনার মতামত লিখুন :