সাইফুল সানি, সখীপুর প্রতিনিধি: [২] গত পাঁচ মাসে মাত্র দুই দশমিক ৮ টন ধান ও ৩৮৪ মেট্রিক টন চাল ক্রয় করা হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম। ফলে ধান চাল ক্রয়ের সময় আরও ১৫ দিন বাড়ানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
[৩] উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সখীপুর উপজেলায় এক হাজার ৫০৪ মেট্রিক টন ধান ও দুই হাজার ৬৮৫ মেট্রিক টন চাল ক্রয়ের সিদ্ধান্ত হয়। ধান ক্রয়ের জন্য আনুষ্ঠানিক লটারির মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন করা হয়।
[৪] অন্যদিকে উপজেলার ৮টি চাতালকলের সঙ্গে চাল ক্রয়ের জন্য জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের চুক্তি হয়। কৃষকদের কাছ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে ধান ও চাতালকল মালিকদের কাছ থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে চাল ক্রয়ের জন্য বলা হয়। গত ১ এপ্রিল থেকে ধান ও চাল কেনা শুরু হয়ে চলে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। কিন্তু গত ৫ মাসে ধান চাল ক্রয়ের সে লক্ষ্যমাত্রা
পূরণ হয়নি।
[৫] সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্থানীয় বাজারে ধানের মূল্য বেশি হওয়ায় সরকারের নির্ধারিত মূল্যে ধান দিতে কৃষকদের সাড়া মিলছে না। একইভাবে চাতালকল মালিকরা নিশ্চিত লোকসান জেনে চাল দিচ্ছেনা। ফলে এবারের ধান চাল ক্রয় ব্যর্থ হচ্ছে। তবে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আরো পনের দিন সময় বাড়ানো হয়েছে।
[৬] নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চাতালকল মালিক বলেন, চাল দিলে বড় লোকসানের মধ্যে পরতে হবে। তাই লোকসানের চেয়ে জামানত বাজেয়াপ্ত হলেও তাঁদের কিছু করার নেই।
[৭] উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আশরাফুল আলম ফাহিম বলেন, ধান ক্রয় উন্মোক্ত করে দেওয়ার পরও কষকরা ধান দিচ্ছেন না। অন্যদিকে বাজারে চালের দাম বেশি থাকায় চুক্তির পরও চাতালকল মালিকরা চাল দিচ্ছেনা। চুক্তি অনুযায়ী চাল দিতে ব্যর্থ হলে চাতালকল মালিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে মর্মে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
[৮] উপজেলা ধান-চাল ক্রয় কমিটির সভাপতি ও ইউএনও আসমাউল হুসনা লিজা বলেন, চুক্তি অনুযায়ী চাল না দিলে চাতাল কল মালিকদের বিরুদ্ধ প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। টাঙ্গাইল জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. কামাল হোসেন বলেন, চাতালকল মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমি আশাবাদী তাঁরা চাল দেবে। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :