সাদেক আলী: [২] গত এক মাসে ধরে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে চোর চক্রের একটি শক্তিশালী দল মিটার চুরি করে মিটারের জায়গায় তাদের ফোন নম্বর রেখে যায়। ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে বিকাশে টাকা পরিশোধের মাধ্যমে মিটারটি আবার ফেরতও পাওয়া যায়। এসব মিটার চুরির সঙ্গে পল্লীবিদ্যুতের নিজস্ব লোক জড়িত বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীরা। আর পুলিশ বলছে প্রযুক্তি ব্যবহার করে চোর ধরা হবে।
[৩] সাঘাটার কামালের পাড়া ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার জয়নুল আবেদীন দাবি করেন, মিটার চুরির সঙ্গে পল্লী বিদুতের লোকজন জড়িত। কেননা ফোন নম্বর ব্যাবহার করে মিটার চুরির পরও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে না।
[৪] সাঘাটা গোরের পাড়া গ্রামের মো. শাহিন আলম বলেন, আমার মিটার হারানোর পরে মিটারের স্থানে রেখে যাওয়া নম্বরটিতে ফোন দিই। তারা ১০ হাজার টাকা দাবি করে। বিষয়টি থানায় অবগত করার পরও কোনো প্রতিকার মেলেনি। এরপর চোরের দেয়া একটা বিকাশ নম্বরে ৮ হাজার টাকা দেয়ার পর মিটার উদ্ধার হয়।
[৫] চুরি থামাতে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে কথা বললে সাঘাটা থানার পুলিশ তদন্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমান জানান, যেহেতু মোবাইল ফোন ব্যবহার করে বৈদ্যুতিক মিটার চুরির ঘটনা ঘটছে তাই প্রযুক্তি ব্যবহার করে চোর ধরার ব্যবস্থা করা হবে।
[৬] এ বিষয়ে গাইবান্ধা পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের জেনারেল ম্যানেজার ছানাউল্লাহ বলেন, মিটার চুরি হলে আমরা গ্রাহককে থানায় জিডি করতে বলি। জিডির কপি জমা দিলে আবারও তাদের মিটার দেয়া হয়। এক্ষেত্রে কিছুটা কম টাকা নেয়া হয় তাদের কাছ থেকে।