শরীফ শাওন: [২] লক্ষমাত্রার অর্ধেক পরিমাণ সংগ্রহ করতে না পারায় সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ শাখা। ২৬ এপ্রিল থেকে ধান এবং ৭ মে থেকে চাল সংগ্রহ শুরু হয়েছিল। ক্রয়ের লক্ষমাত্রা অর্জন না হওয়ায় ৩১ আগস্ট থেকে সময় বাড়িয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর ধান-চাল ক্রয়ের শেষ দিন নির্ধারণ করে স্মারক জারি করা হয়।
[৩] চলতি বোরো মৌসুমে ধান ও চাল মিলিয়ে মোট ১৯ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়। ৮ লাখ টন ধান ও ১১ লাখ টন চাল। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ধান সংগ্রহ হয়েছে ২ লাখ এবং চাল ৬ লাখ টন।
[৪] মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২৬ টাকা দরে ধান, ৩৬ টাকা দরে ১০ লাখ টন সিদ্ধ চাল ও ৩৫ টাকা দরে দেড় লাখ টন আতপ চাল ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়।
[৫] নীলফামারীতে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ১৬ হাজার ৭৯৮ টন নির্ধারিত হলেও নির্ধারিত সময়ে সংগ্রহ হয়েছে এক হাজার ৬৭০ দশমিক ১২০ টন। চুয়াডাঙ্গায় পাঁচ হাজার ৩১০ টন ধান ও সাত হাজার ৬০৫ টন চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সংগ্রহ হয় এক হাজার ২১০ টন ধান ও তিন হাজার ২৬৪ টন চাল। ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় তিন হাজার ৭০৮ টন বোরো ধানের মধ্যে সংগ্রহ হয়েছে ১১২ টন, দুই হাজার ৮০৩ টন সিদ্ধ চালের মধ্যে সংগ্রহ হয়েছে এক হাজার ৪০২ টন। টাঙ্গাইলের সখীপুর এক হাজার ৫০৪ টন ধান ও দুই হাজার ৬৮৫ টন চাল ক্রয়ের সিদ্ধান্ত ছিল। এর মধ্যে মাত্র ২.৮ টন ধান এবং ৩৮৪ টন চাল কেনা হয়েছে। জামালপুর জেলায় বোরো ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২২ হাজার ৬৭১ টন। সংগ্রহ হয়েছে মাত্র তিন হাজার ৮৪৩ টন। বোরো সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ২৫ হাজার ৫৬৩ টনের মধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে ১৬ হাজার ৯৩৬ টন।