নূর মোহাম্মদ : [২] অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের বিরুদ্ধে ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান ওই মামলা করেছিলেন। মুনতাসীর মামুনের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের বেঞ্চ মামলার কার্যক্রমের ওপর ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দেন। একইসঙ্গে মামলাটি বাতিল চেয়ে বিচারিক আদালতে করা আবেদন খারিজ কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
[৩] ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত ‘বাংলাদেশ চর্চা/৩’ বইটি প্রকাশ করা হয়। এ বইয়ের লেখক মো. আবুবকর সিদ্দিকীর ‘মুক্তিযুদ্ধে দৌলতপুর: একটি সমীক্ষা’ শিরোনামের প্রবন্ধে শান্তি কমিটির সদস্যদের নামের তালিকায় ৩৬ নম্বর ক্রমিকে উঠে আসে মুন্নুজান সুফিয়ানের বাবা ‘মৃত মোসলেম বাওয়ালীর নাম। এ বিষয়ে জানতে ২০১৮ সালের ১ জুলাই বইটির সম্পাদক মুনতাসীর মামুনের কাছে উকিল নোটিশ পাঠান মন্নুজান সুফিয়ান। পরে নোটিশের জবাব দেন মুনতাসীর মামুন।
[৪] একই বছরের ১৯ জুলাই আবারো মুনতাসীর মামুনকে নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশে এ তথ্য প্রকাশের দায় স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে তা প্রত্যাহার করতে বলা হয়। সেইসঙ্গে লেখক আবুবকর সিদ্দিকীর বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়। কিন্তু মুনতাসীর মামুন রাজি হননি। পরে মন্নুজান সুফিয়ান গত বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার তৃতীয় জেলা জজ আদালতে ৫০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে চারজনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন।
[৫] মামলাটি বাতিল চেয়ে বিচারিক আদালতে আবেদন করেছিলেন মুনতাসীর মামুন। কিন্তু চলতি বছর ২৩ জানুয়ারি আবেদনটি খারিজ করে দেন আদালত। পরে ওই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন মুনতাসীর মামুন।