ইমরুল শাহেদ : কোভিড মহামারীর কারণে চলচ্চিত্রশিল্প বলতে একেবারেই স্থবির হয়ে পড়েছিল। চলচ্চিত্র নির্মাণের সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত এফডিসিতে চিত্রকর্মীদের সীমিত যাতায়াতও ছিল স্বাস্থ্যবিধি মেনে। সংগঠনগুলোর দপ্তর খোলা ছিল সপ্তাহে একদিনের জন্য। কিন্তু লকডাউন প্রত্যাহার হওয়ার পর সবকিছু ক্রমশ সচল হতে শুরু করেছে।
টিভি চ্যানেলের ভাড়া নেওয়া ফ্লোরগুলো বরাবরই মুখর ছিল। শুক্রবার এফডিসি চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে লাক্স সুপার স্টারদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠান। সেটির জন্য ক্যান্টিন সংলগ্ন চত্বরটি সাজানো হচ্ছে। এছাড়া গত ৫ জুলাই থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত পরিচালক সমিতিতে নিবন্ধিত হয়েছে ৩১টি ছবি। নির্মাতাদের বেশির ভাগই বেশ তৎপর। শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার সেলিম খান নিবন্ধন করিয়েছেন নয়টি ছবি।
তার মধ্যে রয়েছে ১৯৭৫ - এন আনটোল্ড স্টরি, ১৫ই আগস্ট, আগস্ট ’৭৫, টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই, বর্ডার, স্বাধীনতা বিরোধী কারা, বাবা তুমি ফিরে এসো এবং নরসুন্দরী। এছাড়া পরিচালক এফআই মানিকের জন্য দেখো পালায় কারা নামে একটি ছবি নিবন্ধন করিয়েছেন তিনি। তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন পরিচালক মালেক আফসারী।
অন্যান্য নিবন্ধিত ছবির মধ্যে রয়েছে জিহাদ, স্বপ্নের রাজকুমার, রংবাজী, আশীর্বাদ, হিজাব, আই১২০২১ উদয় অস্ত, একাত্তরের ইতিহাস, মুখোশ, জয়িতা, বুকের ভিতর নদী, নেত্রী, মুক্তি, নবাব এলএলবি, মেঘ রোদ্দুর খেলা, একাকী জীবন, পোড়া অন্তর, বেকুল বিহঙ্গ, দৌড় দ্যা রান, স্বপ্নের ফেরিওয়ালা, কোর্ট ম্যারেজ, মগজ ধোলাই ও পরিচালক জাহিদ হোসেনের একটি ছবি। এসব ছবির নির্মাতাদের মধ্যে সোহানুর রহমান সোহান, কমল সরকার, বজলুর রাশেদ চৌধুরী, ইফতেখার চৌধুরী এবং শামীম আহমেদ রনিও রয়েছেন। রনি নিবন্ধন করিয়েছেন দুটি ছবি। অর্থাৎ প্রবীণ এবং নবীন নির্মাতারা চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য এগিয়ে এসেছেন। তারা আশা করছেন, অক্টোবর মাস থেকে চিত্রকর্মীদের পদচারণায় আবারও মুখরিত হয়ে উঠবে চলচ্চিত্রাঙ্গন।