কূটনৈতিক প্রতিবেদক : [২] রোহিঙ্গা শিবিরে মোবাইল ও ইন্টারনেট সুবিধা দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল নাইনটিন বলেছে, যেকোনো মহামারিতে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তথ্যের অবাধগম্যতা একটি অপরিহার্য উপাদান।
[৩] বৃহস্পতিবার বিবৃতিতে আর্টিকেল-১৯ এর দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, তথ্যের নিয়ন্ত্রণ ভুল তথ্য এবং গুজবকে উৎসাহ যোগায়। মহামারি পরিস্থিতি মূল্যায়ন, প্রক্ষেপণ, নীতিনির্ধারণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সঠিক তথ্যের প্রয়োজন হয়। যেকোন মহামারিতে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তথ্যের অবাধগম্যতা একটি অপরিহার্য উপাদান।
[৪] এ সিদ্ধান্ত এমন এক পর্যায়ে গ্রহণ করা হলো, যখন বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা শিবিরগুলোসহ সারাদেশে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে লড়াই করছে।
[৫] কেভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ এবং রোহিঙ্গা শিবিরে কাজ করা মানবাধিকারকর্মী এবং বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের জীবন বাঁচানোর জন্য মোবাইল এবং ইন্টারনেট যোগাযোগের মাধ্যমে তথ্যের সীমাহীন অভিগমন নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।
[৬] আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে শরণার্থীদের যে মৌলিক অধিকার আছে, সেই অধিকারগুলোও নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
[৭] আর্টিকেল নাইনটিন আশা করে সরকার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বাস্থ্যের অধিকার, যোগাযোগের অধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং তথ্য প্রবাহের অধিকার নিশ্চিত করবে এবং অব্যাহত রাখবে। এছাড়া আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে স্বীকৃত মানবাধিকার নিশ্চিত করবে।
[৮] স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শিগগিরই ক্যাম্পগুলোতে মোবাইল এবং ইন্টারনেট পরিষেবা দিতে বাংলাদেশ টেলিযোগযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দেবে।
আপনার মতামত লিখুন :