শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৪ আগস্ট, ২০২০, ০৬:৪৮ সকাল
আপডেট : ২৪ আগস্ট, ২০২০, ০৬:৪৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের তান্ডবে কুয়াকাটার সৈকত লন্ডভন্ড

কলাপাড়া প্রতিনিধি: [২] অস্বাভাবিক জোয়ারের তান্ডবে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সৈকত লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে সৈকতের অন্তত ৩০ ফুট প্রস্থ বেলাভূমি গিলে খেয়েছে বিক্ষুব্ধ সাগর। ভেসে গেছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়িদের দোকানসহ মালামাল। ভাঙ্গনের তীব্রতা এতো বেশি ছিল যে বালুর নিচের সাবমেরিন ক্যাবলের অপটিক্যাল লাইন বের হয়ে গেছে। উত্তাল ঢেউয়ের আঘাতে ভেঙে গেছে সৈকতের লাগোয়া একটি আবাসিক হোটেলের একাংশ। হুমকির মুখে রয়েছে পাবলিক টয়লেট। উপড়ে পড়েছে অশংখ্য গাছ পালা। সর্বত্র এখন যেন ধ্বংসের ছাপ পড়ে আছে।

[৩] স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুধু সৈকত নয়। ঢেউয়ের ঝাপটায় বন্যানিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধও চরম ঝুঁকিতে পড়েছে। একই সাথে ধ্বংসে পরিণত হয়েছে বনবিভাগের রিজার্ভ ফরেস্ট ও কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান ইকোপার্ক। কুয়াকাটার সৈকত লাগোয়া সম্প্রীতির নিদর্শন হিসেবে খ্যাত মসজিদ ও মন্দিরটি রয়েছে ঝুঁকিতে।

[৪] অস্বাভাবিক জোয়ারের এমন তান্ডব তারা আগে কখনও দেখেননি। গত বছরে ঢেউয়ের ঝাপটা ঠেকাতে দেয়া জিও টিউবসহ ব্যাগ ছিড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। আগের চেনা সৈকত এখন যেন অচেনা হয়ে গেছে। ভাঙ্গনের কারনে এখন জোয়ারে থাকছে না ওয়াকিং জোন। এ সৈকতের বেলাভূমে শত শত পর্যটক গোসলে মত্ত রয়েছে। এদিকে কুয়াকাটার মানুষের জীবন ও সম্পদ জলোচ্ছাবাসের ঝাপটা থেকে রক্ষায় বন্যানিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধও চরম ঝুঁকিতে পড়েছে।

[৫] সৈকত পাড়ের ঝিনুকের দোকানি মো.রাসেল খলিফা বলেন, রাতে দোকান বন্ধ করে বাসায় যান। সকালে এসে দেখি মালামালসহ দোকানের একাংশ সাগরে ভাসছে। শুধু তার দোকান নয়, সৈকতের প্রায় অর্ধশত ক্ষুদ্র দোকানিরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। প্রায় এক যুগের সাগরপাড়ের ব্যবসা। সব ভেসে গেছে বলে এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রাসেল জানান।

[৬] আগত পর্যটক সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, সাগরের অব্যাহত ভাঙ্গনে কুয়াকাটার চিত্র বদলে যাচ্ছে। সৈকত রক্ষায় এখনই পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। অন্যথায় সূর্যোদয় সূর্যাস্তের এই বিরল সৌন্দর্য মন্ডিত কুয়াকাটা হারিয়ে যাবে।

[৭] কুয়াকাটা পৌর মেয়র আ.বারেক মোল্লা জানান, সমুদ্র সৈকত রক্ষা করা কুয়াকাটা পৌর সভার একার পক্ষে সম্ভব নয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বারবার অবহিত করা হলেও তারা গুরুত্ব দিচ্ছেনা। তার পরও পাবলিক ওয়াস রুম ও জিরো পয়েন্ট রাস্তা রক্ষার্থে পাচঁ শতাধিক বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফালানো হয়েছে। সৈকতের ভাঙন রোধে তিনি দ্রুত প্রধান মন্ত্রির হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

[৮] পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (কলাপাড়া সার্কেল)খান মোহাম্মদ ওলিউজ্জামান জানান, ভাঙ্গনরোধের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত আসেনি বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। সম্পাদনা: সাদেক আলী

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়