ইসমাঈল ইমু : [১] বারবার আওয়ামী লীগ ও অসাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর ওপর হামলাকারী জঙ্গিগোষ্ঠী হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশ-হুজিবি এখন বিলুপ্তপ্রায়। তবে নব্য জেএমবি ও আনসার আল ইসলামের মতো জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো এখনো হুমকি হয়ে আছে। তাদের এখনকার টার্গেট পুলিশ। সম্পতি কয়েকটি বোমা হামলা ও জঙ্গি তৎপরতায় আবারো ভাবিয়ে তুলছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে।
[৩] গত এক বছরে নব্য জেএমবি দেশে ছোট ছোট ১০টি বোমা হামলা চালিয়েছে, এর মধ্যে আটটিই ছিল পুলিশের ওপর। এই জঙ্গিরা ছোট ছোট গ্রæপে সংগঠিত হয়ে নতুন করে নাশকতার চেষ্টায় আছে। দেশে এ পর্যন্ত যতগুলো জঙ্গি সংগঠনের তৎপরতা দেখা গেছে, এর বেশির ভাগই কোনো না কোনো আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর মতাদর্শ নিয়ে কিংবা যোগাযোগের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে। তবে হুজিবির মতো ভারী অস্ত্রের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও অভিজ্ঞতা অন্য জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্যদের নেই।
[৪] নব্য জেএমবির হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা বাদ দিলে দেশে সবচেয়ে বেশি ভয়ংকর হামলা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটিয়েছে হুজিবি। তারা অন্তত চার দফা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। এর মধ্যে সর্বশেষ ও সবচেয়ে ভয়ংকর হামলা ছিল ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা।
[৫] পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, জঙ্গিবাদ আনেকটা দুর্বল হয়ে গেছে। এটা নিয়ে আতংকিত হওয়ার কিছুই নেই। তাদের নেটওর্য়াক ভেঙে গেছে। জঙ্গিবাদ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দেশ ও জনগণের সর্বোচ্চ সুরক্ষা ও কল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নূন্যতম কোনো আশঙ্কার সুযোগ আমরা রাখতে চাই না, ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট সকল ইউনিটকে সতর্ক করা হয়েছে।