ফজলুল বারী : বিএনপি একটি শিশুতোষ ছেলে ভোলানো দাবি করে তাহলো বঙ্গবন্ধুহত্যার পর মোশতাক মন্ত্রী সভায় তো সব আওয়ামী লীগাররা ছিল। কাজেই জিয়া এর সঙ্গে কোনো ভাবেই জড়িত নয়। এ ব্যাপারে জিয়া-এরশাদ দুজনেই গুরু-শিষ্য। যেমন জিয়াহত্যার পরপরই এরশাদ ক্ষমতা নেননি। বিচারপতি সাত্তার একদিন তাকে ডেকে বলেছেন, মনমাঝি তোর বৈঠা নে-রে আমি আর বাইতে পারলামন। জিয়া-এরশাদ দুজনেই এভাবে দল গোছাতে মাঝে একটা অন্তর্বতীকালীন বিরতি পালন করেছেন। জিয়া-এরশাদ দুজনেই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করেছেন, নিরাপত্ত্বা দিয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে দেননি। তা টেনে নিয়ে যান খালেদা জিয়া পর্যন্ত।
অকৃতজ্ঞ খালেদা বঙ্গবন্ধুকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতে তার জন্ম তারিখ পর্যন্ত বদল করেছেন। এখন আল্লার কাছ থেকে এর শাস্তি পাচ্ছেন। সব কিছুরই কোনো না কোনো জায়গায় গিয়ে জবাবদিহি করা লাগে। এতো গেলো একটা দিক। মোশতাক মন্ত্র¿ী সভার লোকগুলো দেখলে আপনাকে ভাবতে হবে আওয়ামী লীগ ও যে কতো বড় একটা বেঈমান বিশ্বাস ঘাতকদের দলও। এরজন্য এখন এখানে যতো ভিড় দেখছেন এতে খুশি থাকার কোনো কারণ নেই। কারণ এখনকার তারা দেশের অর্থনীতিকেও ফতুর করেছেন।১/১১’র বিশ্বাসঘাততিাও করেছে কিছু নেতা। কর্মীরা নয়। সবকিছু দেখেশুনে এ দলটিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। ফেসবুক থেকে