আনিস তপন : [২] শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার হলে জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে এ প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়।
[৩] বিজ্ঞান ও প্রযু্ক্তি মন্ত্রনালয় উদ্যোগে এবং ফিলাটেলিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় “বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ” শীর্ষক ভার্চুয়াল ডাকটিকিট প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। প্রদর্শনীটি ২৫ই আগস্ট ২০২০ পর্যন্ত চলবে।
[৪] এর আগে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের ড. আনোয়ার হোসেন মিলনায়তনে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
[৫] এসময় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে প্রত্যক্ষ সান্নিধ্যের সৃতিচারণ করে স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, যে নেতা একটা দেশ দিয়েছেন, বিশ্বের বুকে একটা পরিচয় এনে দিয়েছেন, একটা পতাকা ও একটা সংবিধান এনে দিয়েছেন তাঁর এভাবে চলে যাওয়াটা ভাবতেও পারি নাই। বঙ্গবন্ধু শুধু একজন মানুষ নন, নেতা নন, তিনি একটা দেশ, একটা জাতির মুখপাত্র, তিনিই বাংলাদেশ। ওনাকে রক্ষা করা মানেই বাংলাদেশকে রক্ষা করা।
[৬] তিনি বলেন, আমরা সেটা করতে পারি নাই, তাই তাঁর শাহাদাতের ৪৫ বৎসর পরেও নিজেদের অপরাধী মনে হয়। জাতির জনকের বঙ্গবন্ধু হওয়ার পেছনে যার অবদান রয়েছে তিনি হচ্ছেন বঙ্গমাতা। পঁচাত্তরের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা না করা হলে এদেশ অনেক আগেই উন্নত দেশে পরিণত হতো।
[৭] জাতির পিতার স্মৃতিচারণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সব সময়ই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নের কথা চিন্তা করতেন। এরই ফলশ্রুতিতে আজ এ মন্ত্রণালয়ের প্রচেষ্টটায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ।