শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় রণক্ষেত্র, পুলিশ মোতায়েন ◈ খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে মেডিকেল বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত, পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সিদ্ধান্ত ◈ চুয়াডাঙ্গায় পানের বরজে আগুন ◈ মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবে ডিবি ◈ সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতালে ভর্তি ◈ নির্বাচনের প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বিজেপি ◈ মানবপাচার ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রিসহ বিভিন্ন অভিযোগে মিল্টন সমাদ্দারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে: ডিবি প্রধান ◈ চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ৪৩ ডিগ্রি ◈ কুমিল্লায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যার আসামি গ্রেপ্তার  ◈ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব: প্রধান বিচারপতি 

প্রকাশিত : ১৪ আগস্ট, ২০২০, ০৫:৪০ সকাল
আপডেট : ১৪ আগস্ট, ২০২০, ০৫:৪০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে মানুষের অধিকার খর্বকারী আইন বাতিল করবে বিএনপি

শাহানুজ্জামান টিটু: [২] দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন যে সমস্ত আইন মানুষের অধিকার খর্ব করে। মানুষের স্বাধীনতার চেতনায় যে বিষয়গুলো ছিল, বাকস্বাধীনতা, ব্যক্তির স্বাধীনতা খর্ব করে বা হরণ করে অবশ্যই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব আমরা পাই সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে অবশ্যই সেগুলোকে বাতিল করা হবে।

[৩] তিনি বলেন, বিএনপি শুরু থেকেই বলে এসেছে এই আইন কালো আইন। এই আইন সংবিধান বিরোধী এবং এই আইন জনগণের কণ্ঠ রোধ করার জন্য সরকারের হাতিয়ার। সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এই আইন করেছে।

[৪] বিএনপি মহাসচিব বলেন, মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’র তথ্যমতে ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১৫৩ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ১২ জন সাংবাদিক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হয়েছেন। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই কালো আইন বাতিলের দাবি তুলেছে।

[৫] তিনি বলেন, বাস্তব চিত্র আরো ভয়াবহ। কারণ অনেক মামলার খবরই সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হয় না। তাই মানবাধিকার সংগঠনগুলোও তার খোঁজ পায় না। ফলে তাদের সংখ্যার চেয়ে প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি।
মানবাধিকার সংস্থার তথ্য মতে

[৬] ২০১৮ সালের ৯ অক্টোবর থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) কার্যকর রয়েছে। আর্টিকেল ১৯-এর হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালের ২২ জুন পর্যন্ত মোট মামলা হয়েছে ১০৮। মোট আসামি ২০৪ জন। সাংবাদিক ৪৪, অন্যান্য পেশায় কর্মরত ও সাধারণ মানুষ ১৬০ জন। এই হিসেবে প্রায় ২৫ ভাগ আসামিই হলেন সাংবাদিক।

[৭] এরমধ্যে মধ্যে জানুয়ারি মাসে ১০, ফেব্রুয়ারিতে ৯, মার্চে ১৩, এপ্রিলে ২৪, মে-তে ৩১ এবং জুন মাসের ২২ তারিখ পর্যন্ত ২১টি মামলা হয়েছে। ২০১৯ সালে মামলা হয়েছে ৬৩টি। ২০১৮ সালে ডিএসএ এবং আইসিটি অ্যাক্ট মিলিয়ে ৭১টি। ২০১৯ সালে এক বছরে মোট মামলা হয়েছে ৬৩টি। আর সেখানে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই মামলা হয়েছে ১০৮টি।
সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের তথ্য

[৮] বাংলাদেশে এক মাত্র সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের হিসাবে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ডিজিটাল আইনে মামলা হয়েছে মোট ৩২৭টি। জানুয়ারি মাসে ৮৬টি। এরমধ্যে থানায় ৪১টি এবং আদালতে ৪৫টি। ফেব্রুয়ারি মাসে হয়েছে ১১৯টি। থানায় ৯৫টি এবং আদালতে ৩৪টি। মার্চ মাসে মামলা হয়েছে ১২২টি। এরমধ্যে থানায় ৭৫টি এবং আদালতে ৩৭টি।

[৯] ২০১৯ সালে হয়েছে ১১৮৯টি। এরমধ্যে থানায় ৭২১টি এবং আদালতে ৪৬৮টি। ২০১৩ সালে ৫৫০টির মতো মামলা নিস্পত্তি হয়েছে। বিচারাধীন মামলা ১৯৫৫টি। এরমধ্যে থানায় দায়ের করা এক হাজার ৬৬৮টি এবং আদালতে ২৮৭টি। ৫৫টি মামলা হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত আছে।

[১০] শুক্রবার সকালে উত্তরার নিজ বাসভবন থেকে ভিডিও সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়