মো. আখতারুজ্জামান : [২] আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের জারীকৃত বাণিজ্য ভিত্তিক মানি লন্ডারিং প্রতিরোধের গাইডলাইন্সয়ের সফল বাস্তবায়ন ব্যাংকসমুহের দক্ষতার উপর নির্ভরশীল। এ ক্ষেত্রে সব ব্যাংককে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি একটি কেন্দ্রীয় সেল থেকে প্রাইস মনিটরিং এর প্রস্তাব করেন।
[৩] রোববার বিএফআইইউ কর্তৃক জারীকৃত গাইডলাইনস বাস্তবায়নের জন্য রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকসমূহের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল সভায় তিনি এসব কথা বলে।
[৪] আসাদুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন গবেষণায় অবৈধভাবে অর্থ পাচারের সবচেয়ে বড় মাধ্যম হিসেবে বাণিজ্যভিত্তিক মানিলন্ডারিং-কে চিহ্নিত করা হয়েছে।
[৫] বিএফআইইউয়ের প্রধান কর্মকর্তা আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান বলেন, বিএফআইইউ, দুদক ও সিআইডি’র যৌথ উদ্যোগে প্রণীত বাংলাদেশের মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন ঝুঁকি নিরূপন প্রতিবেদন এ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং ও বিদেশে অর্থ পাচারকে ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
[৬] তিনি বলেনস, বিএফআইইউ, বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি গ্রুপ গঠন করে একটি গাইডলাইনটি তৈরি করে।
[৭] সভায় বিএফআইইউয়ের পক্ষ হতে গাইডলাইন্স উপস্থাপনকালে বাংলাদেশে সংঘটিত বিস্তারিত অবহিত করা হয়। চীন কিংবা ভারতের মতো দেশগুলো থেকে অর্থপাচার বেশি হলেও দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশই বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের জন্য বাণিজ্যভিত্তিক মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে গাইডলাইন্স জারী করেছে। কেবল বাণিজ্যভিত্তিক মানিলন্ডারিং প্রতিরোধকল্পে পৃথক কোনো গাইডলাইন্স জারীর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বে ৫ম এবং এশিয়ায় ৩য়।