এম. আমান উল্লাহ : [২] কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের হত্যা মামলায় চার আসামির ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে র্যাব। সিনহা মো. রাশেদ খানের বোন এ হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। আগামী ১২ আগস্ট এই আদেশের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এরইমধ্যে এ ৪ আসামিকে ২ দিনব্যাপী জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করেছে তদন্তকারী র্যাব কর্মকর্তা।
[৩] এই চার আসামি হলেন- কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং এএসআই লিটন মিয়া
[৪] সোমবার র্যাবের গণমাধ্যম শাখার প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানিয়েছেন, যে ৪ জন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে নতুন করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
[৫] আদালতের পুলিশ পরিদর্শক প্রদীপ কুমার দাশ জানান, রিমান্ডের আবেদনটি জমা দেয়া হয়েছে। আগামী ১২ আগস্ট আবেদনটির ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
[৬] গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ বাহারছড়া চেকপোস্টে তল্লাশির সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় হত্যা ও মাদক আইনে এবং রামু থানায় মাদক আইনে পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করে। এ মামলায় নিহত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের সঙ্গে থাকা শাহেদুল ইসলাম সিফাত ও শিপ্রা রানী দেব নাথকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
[৭] এছাড়া, ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ইন্সপেক্টর লিয়াকত, ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ৬ আগস্ট বরখাস্ত ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতসহ ৭ আসামি কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
[৮] মামলার শুনানিতে র্যাবের পক্ষে প্রত্যেক আসামির ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করে। আদালত ইন্সপেক্টর লিয়াকত, ওসি প্রদীপ এবং এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতকে ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বাকি ৪ জনকে ২ দিন কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন। বাকি ২ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ৪ জনকে কারাফটকে ২ দিন জিজ্ঞাসাবাদ সম্পন্ন করে র্যাব। ওসি প্রদীপ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত এবং এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতকে র্যাবের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের কথা রয়েছে।
[৯] পুলিশের দায়ের করা রামু থানার মামলায় সিনহার সহযোগী স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের শিক্ষার্থী শিপ্রা রানী দেবনাথ গতকাল জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে। অপরদিকে টেকনাফ থানায় দায়ের করা ২টি মামলায় মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের সঙ্গে থাকা শাহেদুল ইসলাম সিফাত জামিনে কারামুক্তি পান।
[১০] এর আগে বেলা ১১ টার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ জামিন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে সিফাতের মামলা দুটি বিবাদী পক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তদন্তের ভার র্যাবকে দিয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ