মিনহাজুল আবেদীন : [২] মঙ্গলবার দুপুরে দুদকের উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বাদী হয়ে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় পাপিয়ার বিরুদ্ধে মোট ৬ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে। ইত্তেফাক
[৩] মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর থেকে গত ২২ ফেব্রæয়ারি র্যাব কর্তৃক গ্রেফতার হওয়ার দিন পর্যন্ত সময়ে শামীমা নূর পাপিয়া ওয়েস্টিন হোটেলে ২৫টি রুমে অবস্থান করে রুম-নাইট, রেস্টুরেন্ট (খাবার), রেস্টুরেন্ট (বার) স্পা, লন্ড্রি, মিনি বার ফুড, মিনি বার বাবদ মোট ৩ কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৬০ টাকার বিল নিজেই ক্যাশে পরিশোধ করেছেন। এছাড়া ওয়েস্টিন হোটেলে থাকাবস্থায় পাপিয়া প্রায় ৪০ লাখ টাকার শপিং করেছেন বলে সে দুদক কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন। ইউবি
[৪] অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ বছর মাসিক ৫০ হাজার টাকা করে ৩০ লাখ টাকা বাসাভাড়া দিয়েছে পাপিয়া। গাড়ির ব্যবসায় ১ কোটি টাকা এবং নরসিংদীতে কেএমসি কারওয়াশ সলিউশানে ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছে। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকে তার ও তার স্বামীর নামে ৩০ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৮ টাকা জমা আছে। অপরদিকে র্যাব তার বাসা থেকে ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে। মফিজুর রহমান সুমনের নামে হোন্ডা সিভিএ ২০১২ মডেলের একটি গাড়ি আছে, যার দাম ২২ লাখ টাকা। এভাবে মোট ৬ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৭১৮ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে তা খরচ করে। কালের কণ্ঠ
[৫] এ সব টাকা অজনের্র স্বপক্ষে শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী কোনরূপ বৈধ উৎস দেখাতে পারেনি বিধায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :