সুজন কৈরী : [২] রাজধানীর মিরপুরে একটি ইলেকট্রনিক্স কারখানায় অভিযান চালিয়ে ২৮ লাখ ৩৭ হাজার টাকা শুল্ক এবং ভ্যাট ফাঁকির তথ্য পেয়েছে ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
[৩] মঙ্গলবার ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বলেন, এ বিষয়ে আরও অনুসন্ধান চলছে। সেইসঙ্গে ভ্যাট ও শুল্ক আইন ভঙের দায়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
[৪] ভ্যাট গোয়েন্দা জানিয়েছে, গত ২৯ জুলাই মিরপুর-১১ নম্বরের এসটিউট ইলেকট্রনিক্সের কারখানায় অভিযান চালিয়ে দুটি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে আইসিডি কাস্টম হাউজ দিয়ে ইউপিএস যন্ত্রাংশ আমদানির নথিপত্র যাচাই করা হয়। কিন্তু যাচাইকালে দেখা যায়, স্থানীয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটি প্রযোজ্য ৫ শতাংশ হারে বাণিজ্যিক ভ্যাট দেয়নি। যেখানে ফাঁকি দেয়া ভ্যাটের পরিমাণ প্রায় ১১ লাখ ৬২ হাজার টাকা। প্রতিষ্ঠানটি তাদের মাসিক রিটার্নে ভ্যাট অব্যাহতি পণ্য হিসেবে অপঘোষণা দিয়েছিল।
[৫] অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানটি কিছু যন্ত্রাংশের আমদানি মূল্য কম দেখিয়ে শুল্ক ফাঁকি দিয়েছে। তাদের কাগজপত্র যাচাই করে দেখা যায়, এসটিউট পণ্যগুলো খুচরা যন্ত্রাংশ হিসেবে মাত্র ১ শতাংশ হারে শুল্ক দিয়ে ছাড় করিয়েছে। কিন্তু সরেজমিনে পণ্যটি বিভিন্ন ক্যাপাসিটির পূর্ণাঙ্গ ইউপিএস হিসেবে পাওয়া যায়। প্রকৃত অর্থে প্রতিষ্ঠানটিতে কোনো মেশিনারিজ পাওয়া যায়নি। যা দিয়ে স্পেয়ার পার্টসকে পূর্ণাঙ্গ পণ্যে তৈরি করা যায়। এখানে প্রতিষ্ঠানটি পূর্ণাঙ্গ পণ্য হিসেবে প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ১৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকার শুল্ক আমদানি পর্যায়ে ফাঁকি দিয়েছে। সব মিলিয়ে প্রতিষ্ঠানটি আমদানি চালানে মোট ২৮ লাখ ৩৭ হাজার টাকা শুল্ক ও ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়া গেছে।