শায়রুল কবির খান: গত মঙ্গলবার ২৮ জুলাই রাজধানীর এপোলো হাসপাতালে ভোর ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিউল বারী বাবু।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা শফিউল বারী বাবু, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আর্দশে উদ্বোধ হয়ে ছাত্র রাজনীতির প্রাণ, কেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ঢাকা কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হবার পর থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছেন। ঢাকা কলেজ পেড়িয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবার পাশাপাশি দেশ ও জাতির কল্যাণে সচেতন ভাবেই ছাত্র রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছেন শুধু তাই নয় সরাসরি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী ধারক বহক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের রাজনীতির মধ্যে দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র দলের যুগ্ম আহবায়ক পরবর্তীতে আহবায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। ছাত্র দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সফল সভাপতি থাকা অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন।
বিনয়ী, স্বল্প-ভাষী, সৎ সাহসী এবং সমসাময়িক বয়সের অনেকের চেয়ে বেশি চিন্তাশীল উদীয়মান সম্ভাবনাময় নেতা মাত্র ৪৯ বছর বয়সে মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে অকালে আমাদের সবার মাঝে থেকে হঠাৎই চলে গেলেন চিরকালের জন্য বুঝতেও দিলেন না।
আমাদের জন্য কত বড় কষ্টের তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না বিবেকের তাড়নায় যা উপলব্ধি করছি এবং করে যাবো, আমাদের জন্যই, দেশের জন্যই, সর্বোপরি জাতীয়তাবাদীর শক্তির জন্য। এই প্রজন্মের ছাত্র নেতারা মনে রাখবে আগামী প্রজন্মের জন্য। কি ভাবে তিনি শহীদ জিয়ার আর্দশ ধারণ করে, গণতন্ত্রে মাতা দেশনেত্রী বিএনপি'র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার হাত ধরে দীর্ঘ গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন সংগ্রাম করছেন। মৃত্যুর শেষ সময় পর্যন্ত আগামীর দেশ নায়ক বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা পালন করছেন,আমরা থাকে ভুলতে পারি? ভুলবো না স্বরণে ও কর্মেই থাকবেন।
‘বাবু ভাই চলে গেলেন। ছাত্রদলের রাজনীতির ইতিহাসে বাবু ভাই’র কাছাকাছি জনপ্রিয় ও সাংগঠনিক নেতা কখনও দেখেননি, ছিলেন বলেও বিশ্বাস করেননি শফিউল বারী বাবুর সর্থীত হিসেবে বিপরীত ধারার প্রতিযোগিতা মূলক ছাত্র সংগঠন ছাত্র লীগের সাবেক ছাত্র নেতা ফজলুল হক একটি লেখা লিখেছেন নিজের ফেসবুক পেইজের পাতায়। বর্তমান ছাত্র রাজনীতিতে ও আগামীর জন্য নিঃসন্দেহে ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকতে পারে,তার এই উপলব্ধি।
বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের বিশ্বাসী এরকম একজন সম্ভবাবনাময় সংগঠকের অকাল মৃত্যু সামগ্রিক রাজনীতির জন্য সুখকর নয়।
বিদায় আমাদের প্রিয় নেতা শফিউল বারী বাবু যার সাথে দেখা হয়ে কাছে আসার পূর্বেই বিনয়ী ভাবে সালাম বিনিময় করতেন তিনি আর সেরকম করবেন না। বাবাকে হারিয়ে এতিম হওয়া আপনার ২টি শিশু সন্তান বড় হয়ে গর্বের সাথে সমাজে মাথা উঁচু করে যেন দাঁড়াতে পারে এই দোয়া করি চিরন্তন।
ইনশাআল্লাহ আমরা আপনার আদরের সন্তানদেরকে আগলে রাখবো বাকি পথ টুকু।
লেখক: সহ-সভাপতি, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস
আপনার মতামত লিখুন :