এএইচ রাফি: [২] হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকায় গ্রেফতারকৃত গেলমান ভূইয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহিদ হোসাইনের কাছে ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
[৩] শনিবার দুপুরে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ও নাসিরনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন জানান, গত ২৫ জুলাই উপজেলার দাঁতমন্ডলের ৮৫বছরের বৃদ্ধা রহিমা বেগম তার ভাই একই গ্রামের লুৎফুর রহমান ভূইয়ার বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে আর ফিরে আসেনি।
[৪] পরদিন সকালে আক্তার ভূইয়া নামের একব্যক্তির ডোবায় বৃদ্ধার মরদেহ পাওয়া যায়। মরদেহটি উদ্ধারের পর বৃদ্ধা রহিমার ভাই লুৎফুর রহমান ভূইয়া, বাবলু ভূইয়া ও ঘোড়া মাহবুব সহ তার গোষ্ঠীর লোকজন একই এলাকার সালাউদ্দিনের গোষ্ঠীকে হত্যা করে লাশ ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযুক্ত করে। কারণ লুৎফুর রহমান ও ঘোড়া মাহবুবের গোষ্ঠীর সাথে দীর্ঘদিন যাবত সালাউদ্দিনের গোষ্ঠীর বিবাদ ছিল। পরে হত্যার অভিযোগ করে ঘোড়া মাহবুব ও বাবলু ভূইয়ার লোকজন সালাউদ্দিনের গোষ্ঠীর বাড়িঘরে হামলা করলে পুলিশ গিয়ে নিয়ন্ত্রণ আনে।
[৫] তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় পুলিশ সুপারের নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্ত শেষে হত্যাকান্ডে অংশ নেওয়া গেলমান ভূইয়াকে ৩০জুলাই হবিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। সে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে। গেলমান জানায়, সে সহ বৃদ্ধা রহিমাকে হত্যা করতে ৫জন অংশ গ্রহণ করে। প্রথমে রহিমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়, হত্যার পর কাচি দিয়ে কয়েকটি দাগ দেয়। পরে নৌকায় করে সালাউদ্দিনের গোষ্ঠীর আক্তার ভূইয়ার বাড়ির পাশে ধইঞ্চা ক্ষেতের ডোবার মরদেহটি ফেলে আসা হয় পরিকল্পনা অনুযায়ী। যে সালাউদ্দিনের গোষ্ঠীর লোকজন হত্যা করেছে বলে ফাঁসিয়ে দিতে পারে।
[৬] পরিদর্শক কবির আরও জানান, গতকাল শুক্রবার (৩১জুলাই) গেলমান ভূইয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এরআগে এই ঘটনার প্ররোচনাকারি বাবলু ভুইয়া সহ আরও চারজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
[৭] হত্যাকাণ্ডের পর মরদেহ বহণকারী নৌকাটি জব্দ করা হয়েছে। ওই নৌকার মালিকও সাক্ষী দিয়েছেন এই হত্যাকাণ্ডের। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ