সিরাজুল ইসলাম : [২] রাজধানীর অতি সন্নিকটে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় পানি প্রবাহের প্রধান খালে পার্শ্বসড়ক,বাঁধ,বসতবাড়িসহ অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ করায বন্যার পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। জেলার ৬ টি উপজেলা অনেক আগেই বন্যার পানিতে প্লাবিত হলেও এসব বাঁধার কারণে সিংগাইর প্লাবিত হয়েছে অনেক পড়ে।
[৩] সরেজমিন দেখা গেছে, ধলেশ্বরী নদীর বায়রা ইউনিয়নের নয়াবাড়ি থেকে মানিকগঞ্জ-সিংগাইর-হেমায়েতপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের দক্ষিণ পাশ ঘেঁষে ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রধান খালটি উপজেলার পূর্ব সীমান্তে ধল্লা এলাকায় একই নদীতে মিলিত হযেছে। গত ২০০৪ সালের পর বিগত বছরগুলোতে বর্ষা মওসুমে এ এলাকায় পানি না হওয়ায় খালটির বিভিন্ন স্থানে ভরাট করে একাধিক পার্শ্ব রাস্তা ও অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। এতে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ।
[৪] খালটির বলধারা ইউনিয়নের খোলাপাড়া এএবি ব্রিকস খাল ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করেন। তার পূর্বপাশে খোলাপাড়া বাজার রোডের প্রবেশ মুখে আরেকটি বাধ নির্মাণ করে ওই এলাকার ইটভাটা মালিকেরা। একই খালের জয়মন্টপ ইউনিয়নের পূর্বভাকুম এলাকায় সিংগাইর গ্রীণ অটো ব্রিকস বাঁধ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করেন। এর এক কিলোমিটার পূর্বে জায়গীর বাজার থেকে খালটির শাখা আঠালিয়া বিলের পানি প্রবাহ বন্ধ করে ব্রিটানিয়া প্যাকেজিং লিমিটেড ফ্যাক্টরী নির্মাণ করেছেন। পাশাপাশি মূল খালটির বিভিন্ন স্থানে কিছু কিছু অংশ দখল করে বসতবাড়ি নির্মাণ করায় পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। ফলে পানি উপচে পার্শ্ববর্তী ফসলি জমি এখন প্লাবিত। খালটির পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে সম্প্রতি উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মেহের নিগার সুলতানা খোলাপাড়া বাজার সড়কের প্রবেশ মুখের বাঁধটি ভেক্যু দিয়ে অপসারণ করেন।
[৫] এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নদী-খাল রক্ষা কমিটির সভাপতি রুনা লায়লা বলেন, সুনিদিষ্ট অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।