সুজন কৈরী : [২] আটককরা হলেন- আশুলিয়া থানায় কর্মরত কনষ্টেবল মো. মমিনুর রহমান (৩৫), মো. আ. হামিদ (৩২), মো. ওয়াহেদ (৪০) ও মো. ওয়াজেদ শেখ (২৩)। তাদের কাছ থেকে একটি মাইক্রোবাস, দেশীয় অস্ত্র, ১টি ওয়াকিটকি সেট, ১টি হ্যান্ডকাফ, ১টি পুলিশ আইডি কার্ড, পুলিশ লেখা স্টিকার, সিগন্যাল লাইট, ৪৮০ গ্রাম গাঁজা, ১৯০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১৬টি বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম কার্ড, জাল ৩৭ হাজার টাকা, মাদক বিক্রিত নগদ ২৮ হাজার ৮১৫ টাকা, ৭টি মানিব্যাগ, ১২টি মোবাইল ফোনসেট জব্দ করা হয়েছে।
[৩] র্যাব-৪ সিপিসি-২ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জমির উদ্দীন আহমেদ বলেন, রোববার রাতে আশুলিয়ার জামগড়ার নিগার প্লাজার সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়।
[৪] এর আগে রোববার মো. নূর উদ্দীন (৪৬) নামের একজন ওষুধ ব্যবসায়ী র্যাব-৪ এর নবীনগর ক্যাম্পে অভিযোগ করেন যে, কতিপয় অসাধু ব্যক্তি ডিবি পুলিশ পরিচয়ে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জামগড়া এলাকায় তার ফার্মেসিতে গিয়ে ৬৩ হাজার টাকা চাঁদা নেয় এবং আরও ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে বলে জানায়। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
[৫] প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানায়, তারা একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র। ৪ থেকে ৫ বছর ধরে আশুলিয়া, সাভার, টঙ্গি, চন্দ্রা, বাইপাইল এলাকায় সাধারণ ও নিরীহ লোকদের ভয় ভীতি, হুমকি ও গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজী করছিলো। আটকদের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি, চাঁদাবাজি, মাদক বিক্রি ও জাল নোট রাখার অপরাধে আশুলিয়া থানায় ৪টি মামলা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :