রাশিদ রিয়াজ : [২] মার্কিন ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চের সাম্প্রতিক সমীক্ষার রিপোর্ট সামনে এসেছে দু’দিন আগে। লকডাউনে গৃহ সন্ত্রাস, যৌন নির্যাতনের ঘটনা কতটা বেড়েছে এই সংক্রান্ত বিষয়ে গবেষণা করেছেন অধ্যাপক সারাভানা রবীন্দ্রন ও মনীষা শাহ।

[৩] কোভিড পরিস্থিতিতে লকডাউনে ঘরে বন্দি জীবনের হাঁসফাঁসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে গার্হস্থ্য হিংসা, নারী নির্যাতনের মতো ঘটনা। সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়েছেন নারীরা। বাড়িতেই যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্করা। আর এই অপরাধমূলক ঘটনা বেশি ঘটে রেড জোনে।

[৪] অধ্যাপক সারাভানা বলছেন, মে মাসে জাতীয় মহিলা কমিশনে গৃহ সন্ত্রাস ও নারী নির্যাতনের ৩৯২টি অভিযোগ জমা পড়ে। গত বছর মে মাসে এমন ধরনের অভিযোগ জমা পড়েছিল ২৬৬টি। মে মাসে সাইবার অপরাধের সংখ্যা ছিল ৭৩টি। গত বছর যা ছিল ৪৯টি।

[৫] মার্কিন ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চের দুই অধ্যাপক বলছেন, ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের ঘটনা ৬৬% বেড়েছে রেড জোনগুলোতে। শিশুরাও যৌন নিপীড়নের শিকার। ঘরবন্দি অবস্থায় মানসিক স্থিতি বিগড়ে যাচ্ছে অনেকেরই। মেজাজ হারাচ্ছেন বহু মানুষ। যার কারণে এই ধরনের হিংসাত্মক ঘটনা বেড়ে চলেছে।

[৬] সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন মানুষ চরম আতঙ্ক ও আশঙ্কায় রয়েছে বলে বিরক্তিভাব, অসহিষ্ণুতা বাড়ছে। সামাজিক মেলামেশার রাস্তা যেহেতু বন্ধ তাই পরিবারের লোকজনের উপরেই বিরক্তি বা রাগের প্রভাব বেশি পড়ছে। লকডাউনে গৃহবন্দি অবস্থায় থাকার অভ্যাসও এই প্রথম। তাই স্বতঃস্ফূর্ততা কমছে, মানসিক চাপ আর অবসাদ বাড়ছে। যার কারণেই অপরাধপ্রবণতা অনেক বেশি বেড়ে যাচ্ছে।