মুস্তাফিজুর রহমান : [২] শিশুটির নাম সাবরিনা (১১)। বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দগ্ধ হয়ে, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি রয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশুটির অবস্থা আশংকাজনক।
[৩] বৃহস্পতিবার (১৬,জুলাই) বিকাল তিন টার দিকে, দক্ষিণ ধনিয়া, রহিম সাহেবের বাসার ৩য় তলার ছাদে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে।
[৪] স্বজনদের অভিযোগ বাড়ির মালিক আব্দুর রহিম সাহেবের অবহেলার কারনেই ঘটনাটি ঘটেছে ।
[৫] ঢামেকের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ বাচ্চু মিয়া বলেন, শিশুটি দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
[৬] শেখ হাসিনা বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ পার্থ শংকর পাল জানিয়েছেন, বিদুৎপৃষ্টে সাবরিনার শরীরের ২৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তার অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। সে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
[৭] শিশু টির বাবা শাহআলম বলেন, তারা ঐ তৃত্বীয় তলা ভবনের নিচ তালায় ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে থাকেন।
[৮] তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে আমার ছোট মেয়ে সাবরিনা কাপড় নাড়তে ছাদে যায় । সেখানে নাড়ার সময় ভবনের পাশ দিয়ে যাওয়া হাই ভোল্টেজের তারের সাথে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে দগ্ধ হয়ে অচেতন হয়ে পড়ে । পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
[৯] তিনি অভিযোগ করে বলেন, ভবনের পাশ দিয়ে যাওয়া, হাই ভোল্টের বৈদ্যুতিক তার গুলির পাশে নিরাপত্তা বেশটুনি দেয়ার জন্য বাড়ির মালিক কে, একাধিক বার বলার পরও, তিনি কোন ব্যাবস্থা নেননি। কয়েক মাস আগেও এই ভবনে এ রকম আরো একটি ঘটনা ঘটে ছিল। এক শ্রমিক বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে মারা গিয়েছিল। তখন এলাকাবাসীও বাড়ির মালিক কে নিরাপত্তার ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য্য বলেছিলেন।
[৯] তিনি বলেন, আজ যদি তিনি সেখানে কোন ব্যাবস্থা নিতেন, তাহলে, আমার মেয়ে এই দূর্ঘটনার (দগ্ধ) শিকার হতো না।
[১০] তিনি বলেন, আমি এর বিচার দাবি করছি। বাড়ির মালিক আব্দুর রহিম ঘটনাটি শিকার করলেও তাদের দেয়া অভিযোগ অস্বিকার করেন। তিনি বলেন, এটা তাদের অসাবধানতার কারনে দূর্ঘটনাটির শিকার হয়েছে শিশুটি।
এর আগেও বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তখন রংয়ের কাজ করার সময় এক শ্রমিক মারা গেছেন।
সাবরিনা স্থানীয় রেনেসা আইডিয়াল স্কুলের ৪র্থ শ্রেনীর শিক্ষার্থী। তিন বোনের মধ্যে ছিল ছোট। তাদের গ্রামের বাড়ি লক্ষিপুর জেলার বাংলর উপজেলার পশ্চিম শেখপুরে।
আপনার মতামত লিখুন :