রাহুল রাজ: [২] ১৯৯৬ সালে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির সদস্যপদ লাভের পর থেকে নেপালের ক্রিকেট সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়িয়েছে তার জনপ্রিয়তা। তবে জনপ্রিয়তা থাকলেও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে নেপাল অতীতে খুব একটা সুবিধা করতে না পারলেও গত দশ বছরে নেপালের ক্রিকেট গুছিয়ে নিয়েছে অনেকটা। নেপালের তরুণ ক্রিকেটার স›দ্বীপ লামিচানে বিশ্বের সব বড় বড় লীগ খেলে বেড়ানোটা যেনো সে কথারই প্রমাণ দিয়েছে।
[৩] নেপালে ক্রিকেট নিয়ে যখন এতো মাতামাতি সেই নেপালেই এতোদিন ছিল না কোন আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এমন আক্ষেপ দূর করতে নেপালের ডারমাস-সান্তালি ফাউন্ডেশন ও নেপাল সরকারের যৌথ্য উদ্যোগে চিত্বন জেলার রামপুরের ভারতপুর মেট্রোপলিটন সিটিতে ‘গৌতম বুদ্ধ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম’ নামে নেপালের প্রথম কোন আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ শুরু হয় গত বছরের নভেম্বরে। প্রাথমিক ভাবে ৩০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন স্টেডিয়ামটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ বিলিয়ন রুপি।
[৪] গত জানুয়ারীতে সরোজমিনে দেখা যায়, ক্রিকেট পাগল নেপালীদের স্বপ্নের এই স্থাপনার নির্মাণ কাজে পুরো এলাকায় একটা উৎসব মুখোর পরিবেশের সৃষ্টি করেছে। মার্চের শুরুর দিক পর্যন্ত সুন্দর ভাবেই চলছিলো। কিন্তু বিশ্বকে স্থবির করে দেওয়া মহামারী করোনা ভাইরাসের থাবায় প্রথমে ধীর গতি ছিলো কাজে, পড়ে বাধ্য হয়েই স্টেডিয়ামের গ্যালারীগুলোর ভিত্তি তৈরীর জন্য ৮০শতাংশ মাটি কাটার পরেই থামাতে হয়েছে এর নির্মাণ কাজ। জানুয়ারীতেই দেখা গিয়েছিল স্টেডিয়ামের মূল কাজ শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় পুরো মোবিলাইজেশন ও মূল মাঠ তৈরীর প্রায় ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছিল।
[৫] করোনার প্রভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন নেপালের ‘গৌতম বুদ্ধ’ স্বপ্নটা দীর্ঘায়িত হয়েছে বৈকি। নেপালীবাসীর বর্তমান প্রত্যাশা দ্রুত করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এবং নির্ধারিত ২০২৫ সালে ‘গৌতম বুদ্ধ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরি হবে। তখন শুধু হিমালয়ের জন্য নয় খেলা দেখতেও ক্রিকেট ভক্তরা ভীড় জমাবে নেপালে। আর গ্যারালীতে নিজেদের পতাকা হাতে নিজ দেশের জন্য প্রথম বারের মতো গলা ফাটাবে নেপালীরা।