মনিরুজ্জামান সুমন, চুয়াডাঙ্গা: [২] আঙ্গুর চাষ বৃদ্ধি করলে দেশের আঙ্গুরের চাহিদা কিছুটা হলেও পুরণ হবে এমন আসা নিয়েই এই চাষ শুরু করেছেন। ৫ কাঠা জমিতে আঙ্গুর চাষ করে তারা এখন এলাকায় সফল চাষি । এবং চলে গেছে পাশাপাশি বেকারত্ব।
[৩] আঙ্গুর চাষী মামা আমিরুল ইসলাম ও ভাগ্নে তারিকুল বেকার হয়ে দুর্বিসহ জীবন যাপন করছিলেন। তারা সাংবাদিকদের বলেন ১ বছর আগে ভারতের মোম্বায়ের এক আঙ্গুর বাগানে চাষ প্রণালী সর্ম্পকে জানেন। নিজ পরিবার ও নিজের ভাগ্যর চাকা ঘুরাতে, দেশের কথা ভেবে আঙ্গুরের চাহিদা মেটাতে ওই শহর থেকে ২৫/৩০ টি অঙ্গুরের চারা কিনে দর্শনা স্থল পথে দেশে নিয়ে আসে। পরে ৫ কাঠা জমির উপর গাছ গুলো রোপন করা হয়। ৬ মাস পরে কয়েকটি গাছে কিছু আঙ্গুর ফল আসে। অল্প ফল ধরায় হতাশ না হয়ে প্রবিন আঙ্গুর চাষিদের পরামর্শ নিয়ে পরবর্তী বছরের জন্য আবার পরিচর্চা শুরু করেন।
[৪] এতে বেশ সফলতা এসেছে, ডালে ডালে থোকায় থোকায় আঙ্গুরে ভোরে গেছে। এখন আঙ্গুরের একটি গাছে প্রায় ২০ থেকে ৩০ কেজি আঙ্গুর ঝুলে আছে। ইতিমধ্যে গাছ থেকে আঙ্গুরফল তুলে বাজারজাত শুরু করেছে। আঙ্গুর চাষি মামা-ভাগ্নে জানালেন নিজ উদ্দেগে যতটুকু এগিয়েছি, সরকারি সাহায্য সহযোগিতা পেলে বেকারত্ব দুর করে সফল হওয়া সম্ভব।
[৫] আঙ্গুর চাষে সফলতার খবর শুনে দর্শনায় আঙ্গুর বাগানে ছুটে আসেন দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার মো: মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, মামা-ভাগ্নের বানিজ্যিক ভাবে আঙ্গুর চাষের সার্বিক সহোযোগিতা করবেন কৃষি অফিস। সম্পাদনা: সাদেক আলী