স্পোর্টস ডেস্ক : [২] করোনার প্রভাবে বন্ধ রয়েছে দেশের ক্রিকেট। আন্তর্জাতিক এবং ঘরোয়া খেলা বন্ধ থাকায় বেশ খারাপ সময় কাটাচ্ছেন দেশের ক্রিকেট ধারাভাষ্যকাররা। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবার কারণে আসন্ন দিনগুলো নিয়ে বেশ চিন্তায় রয়েছেন তারা।
[৩] দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে শুধু ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফই নয়, বাংলাদেশি ভাষ্যকাররাও আর্থিক সঙ্কটের মুখোমুখি হচ্ছেন। বর্তমান পরিস্থিতিটি বিবেচনায়, এটা পুরোপুরি স্পষ্ট যে ক্রিকেট খুব শিগগিরই পুনরায় শুরু হবে না এবং যদি করোনা পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক না হয়, তবে তাদের সমস্যাবলী আরও বাড়বে।
[৪] বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক লেভেলের ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার আতাহার আলী খান সম্প্রতি দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় দৈনিককে করোনাকালীন তাদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। আতাহার আলী খান বলেন, 'আপনি যখন পেশাদারভাবে কিছু করছেন, আপনি এটি বিনা পারিশ্রমিকে কিন্তু করছেন না। সুতরাং, হ্যাঁ আমি কিছুটা ধাক্কা খেয়ে যাচ্ছি যেহেতু আয় নেই, অপরদিকে খরচ কিন্তুই থেমে নেই। আমার একটি চুক্তি ছিল যে আমি ওডিআই ও পাকিস্তানের টেস্ট ম্যাচে ধারাভাষ্য করব; তারপরে আয়ারল্যান্ড সিরিজে।
[৫] সাধারণত কি হয়, কোনও সিরিজ নির্ধারিত হওয়ার পরে ব্রডকাস্টারগুলি প্রযোজনা দল, ধারাভাষ্যকার সবকিছুকে নির্দিষ্ট করে। সুতরাং অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য, আমি জানি না যে আমাকে ধারাভাষ্যকার হিসেবে দায়িত্ব দেয়া কিনা। তবে সিরিজগুলো স্থগিত হওয়ায় এখন সেই সুযোগটি আর নেই।
[৬] দেশের আরেকজন জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার শামিম হোসেন চৌধুরী এ প্রসঙ্গে বলেন, একের পর এক সিরিজ স্থগিত হওয়ায় আমি আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। মিডিয়াতে কাজ করে আমি বেশ ভালো আয় করতাম যা বর্তমানে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। প্রত্যেকে আয় অনুসারে নিজস্ব জীবনযাত্রা তৈরি করেছে, তাই আমার জন্য আমার আয় মারাত্মকভাবে কমেছে। - ক্রিকফ্রেঞ্জি
আপনার মতামত লিখুন :