মুশফিক ওয়াদুদ : আমেরিকান সাংবাদিক লরেন্স লিফশুলজ তার বই ‘বাংলাদেশ : দ্য আনফিনিশড রেভ্যুলিউশন’ এ দাবি করেছেন যে, বাংলাদেশে চীনপন্থী কমিউনিস্টরা শুধু যে স্বাধীনতার বিরোধিতাই করেছিলেন তা নয়, অনেক ক্ষেত্রে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সাহায্য করেছিলেন। লিফশুলজ দাবি করছেন যে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কর্নেল আশিক হোসাইন তাকে বলেছেন যে পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মোহাম্মদ তোয়াহা তার সাথে আলোচনা করেছিলেন মুক্তি বাহিনীর বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান পরিচালনার (পৃষ্ঠা ২২)। আরেকজন চীনপন্থী বাম নিউএজের সাবেক সম্পাদক, প্রয়াত সাংবাদিক এনায়েতউল্লাহ খান সম্পর্কে লিফশুলজ লিখছেন, তিনি তোহার ঘনিষ্ট ছিলেন এবং জুলফিকার আলী ভুট্টোর ঘনিষ্ঠ সহযোগি ছিলেন। এনায়েতউল্লাহ খান কে ১৫ আগস্টের পর খন্দকার মোশতাক বাংলাদেশ টাইমসের সম্পাদক পদে বসিয়েছিলেন (পৃষ্ঠা ১২৯)। চীনপন্থী বামদের মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অবস্থান থাকলেও এই বিষয়টি নিয়ে দেশে আলোচনা হয় না। দেশের বেশিরভাগ মানুষ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এই অংশটি জানেন না। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী বলতেই ইসলামিস্টরা এমন একটি ন্যারেটিভ দেশে প্রতিষ্ঠিত। এমনকি গণজাগরণ মঞ্চেও চীনপন্থী বামদের একটি অংশের সরব অবস্থান ছিল। আমি মনে করি এখানে মিডিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। মিডিয়ায় বুদ্ধিভিত্তিক অংশে বামদের শক্ত অবস্থান থাকার কারণে ইতিহাসের এই অংশ টি ব্লাক আউট করা সম্ভব হয়েছে। ইসলামিস্টরা সেইটা পারেনি।
ফেসবুক থেকে