সমীরণ রায়: [২] বাসদ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, করোনার এই দুর্যোগের সময়ে বেসরকারি কিছু হাসপাতাল জনগণের চিকিৎসা দেয়ায় নিষ্ক্রিয় থেকে গণবিরোধী আচরণ করে আসছে। এখন আবার চিকিৎসার নামে অস্বাভাবিক বিল করে জনগণের গলাকাটা ও পকেট কাটার মহাউৎসব চালাচ্ছে।
[৩] তিনি বলেন, ডাকাতি ও গণবিরোধী অমানবিক আচরণ বন্ধে এই হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলো অধিগ্রহণ করে বিনামূল্যে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা ও চিকিৎসার সুব্যবস্থা করুন। এদের অন্যতম আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল, যার মালিক ‘ভোট ডাকাতির সংসদের’ একজন এমপি ও বেসরকারি হাসপাতাল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক। করোনা চিকিৎসার নামে এই হাসপাতালে রোগীদের গলা কাটা হচ্ছে।
[৪] খালেকুজ্জামান বলেন, ইউনাইটেড হাসপাতালে ৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগী কর্তৃপক্ষের অবহেলায় পুড়ে মারা গেল। মালিবাগে প্রশান্তি নামের এক ক্লিনিকে রোগীকে আইসিইউতে না রেখেই আইসিইউ’র বিলসহ এক লাখ ৬০ হাজার টাকা বিল করেছে এবং টাকার জন্য রোগীর লাশ বেডের সঙ্গে বেঁধে রাখার ছবিও পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
[৫] তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সরকারের পক্ষ থেকে ঐ সব বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকের গলা কাটা, জনগণের পকেট কাটার এবং অমানবিক আচরণের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা আজও পর্যন্ত নেওয়া হয়নি।
[৫] শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব
আপনার মতামত লিখুন :