মনির দেওয়ান, মেহেন্দিগঞ্জ : [২] বরিশার জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উলজেলার ৩ নং চর এককরিয়া ইউনিয়নের চরলতা গ্রামের মোঃ আক্কাছ আলীর মেয়ে সীমা (১৪) বিগত ৭-৮ মাস পূর্বে জুয়েল শাহ, পিতা: তোফাজ্জেল হোসেন হিরু শাহ ৫ নং সদর ইউনিয়নের চরহোগলা গ্রামে গৃহকর্মীকে হিসেবে যোগদান করান।
[৩] কাজে যোগদানের কয়েকদিন পরেই জুয়েল শাহ ছদ্দ নাম ছালমা (১৪) নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক শারিরীক সম্পর্ক করতে বাধ্য করে। কিন্তু ছদ্দ নাম ছালমা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে জুয়েল ক্ষিপ্ত হয়ে সুযোগ বুঝে সালমাকে বাসার রুমের মধ্যে আটকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
[৪] প্রতিনিয়ত ছালমাকে ব্লাক মেইল করে ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধীকবার অবৈধ সম্পর্ক তথা শারিরীক সম্পর্ক করেন। জানুয়ারী মাসে গর্ভে সন্তান চলে আসলেও কিশোরী ছালমা বুঝতে পারে নানি সে গর্ভবতি। গর্ভে সন্তান আসার পর নানা রকম শারিরীক অসুস্থ্যতার জের ধরে জুয়েল শাহর স্ত্রী মোছাঃ লীয়ার কাছে ঘটনা খুলে বলেন।
[৫] ধীরে ধীরে সীমা বেশি অসুস্থ্য হয়ে পড়ে, তখন জুয়েল শাহ বিষয়টি বুঝতে পেরে, ছালমাকে সরাসরি বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গাইনী ওয়ার্ডে নিয়ে যান। সেখানের ডাক্তার ও নার্স এ অবস্থায় বাচ্চা নষ্ট করার পরামর্শ দিলে জুয়েল শাহ তার এক বন্ধুর বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে এক নার্স ও আয়াকে দিয়ে ৬ মাসের মেয়ে বাচ্চা প্রসব করান।
[৬] এক পর্যায় মেয়েটি বৃহস্পতিবার সন্ধায় মেহেন্দিগঞ্জ থানায় মামলা করতে আসলে দালাল খ্যাত কথিত সাংবাদিক ভিকটিমকে থানা থেকে নিয়ে উভয় পক্ষকে উপস্থিত রেখে একটি শালিস মিমাংসায় বসেন। সেখানে অভিযুক্তের সাড়ে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেন। এর মধ্যে মেয়ের পরিবারকে দেড় লাখ টাকা দেওয়ার কথা বাকি টাকা দালালচক্র আত্মসাৎ করেন।
[৭] এভাবে একটি নবজাতককে জন্মের সাথে সাথে হত্যা ও মেয়েকে ধর্ষণ করে অর্থ বিত্তের মালিক জুয়েল শাহ পার পেয়ে যাওয়ায় সংবাদ পেয়ে মেহেন্দিগঞ্জ থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে শনিবার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মেয়ের বাবা আক্কাছ আলী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনায় দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলেন পুলিশ।
[৮] এই বিষয়ে ভিকটিমের বাবা বলেন আমরা থানায় মামলা করতে গেলে এক সাংবাদিক সহ কয়েক ব্যাক্তি থানায় গিয়ে আমাদের নিয়ে আসেন ফয়সালা করে দিবেন বলে। পরে বলে আপনি দেড় লাখ টাকা নিয়ে চুপ থাকেন।
[৯] ওসি আবিদুর রহমান জানান, অভিযুক্তের নামে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। সম্পানা : হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :