কামরুল হাসান মামুন : আজকের ঢাকা ট্রিবিউনে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হেল্থ এপিডেমিওলজির সহযোগী অধ্যাপক ড. রাজীব চৌধুরীর একটি সাক্ষাৎকার ছাপিয়েছে। সেখানে সে স্পষ্ট করে বলেছে যে গোটা দেশে শক্ত লকডাউনে যাওয়া ছাড়া আমাদের মুক্তি নেই। আমি এপিডেমিইওলোজিস্ট না তবুও অনেকদিন যাবৎ একই কথা বলে আসছি। সরকারের বিশেষজ্ঞ কমিটিও বারবার একই উপদেশ দিচ্ছে বলে তারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে স্পষ্ট করে জানিয়েছে। বলা হচ্ছে যে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের লোকজন নাকি দেশজুড়ে কিংবা ঢাকা জুড়ে লকডাউন চায়না। তারা নাকি জীবনের সাথে জীবিকাকেও গুরুত্ব দিচ্ছে। এখন আমাদের উচ্চ পর্যায়ের লোকজন যদি বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানীদের চেয়ে বড় বিজ্ঞানী হয় তাহলে এইসব কমিটি করলেন কেন? নাকি বিশেষজ্ঞদের মাথায় কাঁঠাল রেখে খাটাল খেতে খুব মজা? হয়ত দল ঘেঁষা বিশেষজ্ঞ বলে কেউ কমিটি থেকে বের হয়ে আসেনি। আমি থাকলে ঘোষণা দিয়ে অনেক আগেই চলে আসতাম।
জীবিকার নাম ধুইয়ে পোশাক কারখানা খুলে দিয়ে ডিজাস্টার এনেছি।
জীবিকার নাম ধুইয়ে শপিং মল খুলে দিয়ে ডিজাস্টার এনেছি।
উৎসবের নামে ঈদে সবাইকে বাড়ি যেতে দিয়ে আবার জীবিকার নামে আসতে দিয়ে আরেকবার ডিজাস্টার এনেছি।
সামনে আসছে কোরবানি ঈদ। এখন আবার কোরবানির পশুর হাটের নামে আরেক দফা ডিজাস্টারকে আমন্ত্রণ জানানোর অপেক্ষায় আছি।
হজের মত ইসলামের একটি অন্যতম প্রধান অঙ্গ সৌদি আরব এইবার সৌদিতে অবস্থানরতদের মাঝেই সীমাবদ্ধ রেখেছে এবং তাও সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। অর্থাৎ এইবার বাংলাদেশ বা অন্য কোন দেশ থেকেই কেউ হজ করতে যেতে পারবেন না। এই কথাটাই আমি দুইদিন আগে একটি মতামত হিসাবে লিখেছিলাম। ও মাই গড, কি সব মন্তব্য! যেন হজ বাদ দেওয়া যায় না। আমি বলেছিলাম যেকোনো ব্যতিক্রমী সময়ে ব্যতিক্রমী ব্যবস্থা নিতে হয় যেমন সৌদি নিয়ে অন্য সবাইকে এখন বাধ্য করেছে। ঠিক তেমনি কেন আমরা পশুর হাট এইবার নিষেধ করতে পারব না?
আপনার মতামত লিখুন :