নাজমুল হুদা : [২] জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল চৌধুরীকে গ্রেফতারের পর অজানা ভয়ে তিতুমীর কলেজ থেকে সব কিছু ছেড়ে পালিয়েছে তাদের কর্মীরা। শুরু থেকেই তারা এখানে ক্যাম্প করে নমুনা সংগ্রহের কাজ করেছিলো। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার (২৩ জুন) আরিফ চৌধুরীকে গ্রেফতারের ঘটনার পরেই কলেজ ছেড়ে পালিয়ে যায় জেকেজি কর্মীরা।
[৩] কলেজটিতে মাস্ক, গ্লাভস, পিপিই, ব্যবহৃত জামা-কাপড় সহ করোনা পরিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন উপকরণ ফেলে কথিত সেচ্ছাসেবী ও নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর সবাই তাদের জীবন নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তবে পালিয়ে যাওয়ার কারণ তাদের থেকে এখনো জানা যায়নি।
[৪] তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ জনাব আশরাফ হোসেন জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে গতকাল রাত থেকেই তারা এখান থেকে চলে যায়। শুরু থেকে কলেজে তাদের প্রায় পৌনে দু'শ কর্মীরা অবস্থান করেছিলো। তবে গতকালের ওই ঘটনার পর এখন একজন কর্মীও কলেজে নেই। আমরা বিষয়টি বনানী থানায় জানিয়েছি। এবং শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরেও জানিয়েছি।
[৫] এদিকে, গতকাল করোনার উপসর্গ থাকা রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে কোনও ধরনের পরীক্ষা ছাড়াই ভুয়া রিপোর্ট প্রদানকারী প্রতারকচক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে তেজগাঁও থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আরিফুল চৌধুরী জেকেজির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। আর হুমায়ুন কবীর ও তানজিনা দম্পতি জেকেজির সাবেক স্টাফ। এ ঘটনায় কোভিড-১৯ সন্দেহভাজন রোগীর নমুনা সংগ্রহ, কেন্দ্র স্থাপন ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়ে তাদের অনুমোদন বাতিল করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
[৬] এর আগে, জেকেজি হেলথ কেয়ারের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মী ও তিতুমীর কলেজের কর্মচারীদের মধ্যে মধ্যরাতে সংঘর্ষের ঘটনায় তিতুমীর কলেজের ৬ জন স্টাফ গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
[৭] উল্লেখ্য, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথকেয়ারকে সরকারের পক্ষ থেকে দায়িত্ব দেওয়া হয় নমুনা সংগ্রহের বুথ স্থাপনের জন্য। এর জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবই সরবরাহ করা হতো সরকারি ভাবে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি এই সুবিধা নিয়ে বাসায় গিয়ে অবৈধভাবে নমুনা সংগ্রহ করতো, যার কোনো অনুমতি ছিল না। আবার বাসা থেকে সংগ্রহ করা নমুনার ফলাফল দেওয়ার ক্ষেত্রেও মানতো না সরকারি নিয়ম। আর এভাবে প্রতিষ্ঠানটি হাতিয়ে নিতো একটা বিশাল অঙ্কের টাকা।