মো. আখতারুজ্জামান : [২] দেশে শিল্পে মন্দা চলেলও আশা জাগিয়েছে কৃষি অর্থনীতি। এ সময়ে বিনিয়োগ বেড়েছে দেশের কৃষিখাতে। শহর থেকে যারা গ্রামে চলে গেছে তারা এ সময়ে কৃষি জমির ব্যবহারে মনোযোগি হচ্ছে।
[৩] বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা কেন্দ্রের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে মৎস্য, হাঁস মুরগি পালন, গরু পালন এসবে বিনিয়োগ বাড়বে। আমরা দীর্ঘদিন থেকে এটাই চাইছিলাম যেন গ্রামে বিনিয়োগ বাড়ুক। এতে গ্রামীণ অবকাঠামোর দ্রুত পরিবর্তন আসবে।
[৪] তিনি বলেন, করোনাকালে অর্থনীতি বাঁচিয়ে রাখবে কৃষি। সরকারের উচিৎ হবে যারা কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়ায় বিনিয়োগ করবে তাদের সহায়তা করা। কৃষিপণ্য দেশের প্রত্যেকটি শহরে সরবরাহের ব্যবস্থা করা। বিদেশে রপ্তানি করতে পারলে আরও ভালো।
[৫] এ অর্থনীতিবিদ বলেন, বর্তমানে স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণে মানুষ অনেক কিছু থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে। যারা আগে রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে যেত তারা বাসায় এসব তৈরি করছে। ফলে রেডিমেড কৃষিপণ্যের চাহিদা বেড়েছে। এখন প্রক্রিয়া করা মাছ, মুরগিসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য পাওয়া যায়।
[৬] তবে কৃষিখাতে নেতিবাচক কিছু দিকও রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সবাই মিলে যদি কৃষিতে বিনিয়োগ করতে চায় তখন কর্মসংস্থানে চাপ বাড়বে। দেখা যাবে, যে কাজ পাঁচজনে করা যায় সেখানে ১০ জন করছে।
[৭] জানা যায়, প্রস্তাবিত ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেটে কৃষি খাতে ২৯ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যা গত বছর ২ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা বেশি। যদিও অর্থনীতিবিদরা বলছেন চাহিদার তুলনায় এখাতে এটা অনেক কম।