লাইজুল ইসলাম : [২] রাজধানীর মগবাজার, মিরপুর, উত্তরা, রামপুরা, বাড্ডাসহ শহরের নানা জায়গায় বাস এ সম্প্রদায়ের। তবে, ঢাকায় কতজন ট্রান্স জেন্ডার বসবাস করেন তার কোনো নির্দিষ্ট হিসেব নেই।
[৩] মগবাজারের হুররাম সজিব বলেন, আমরা খুবই সংকটের মধ্য দিয়ে সময় পার করছি। বাসায় খাবার যা আছে তা দিয়ে কোনো ভাবে হয়তো দুই দিন চলবে। কিন্তু এই মগবাজারের এমন অনেকে আছেন যাদের ঘরের জিনিসপত্র, গয়না বিক্রি করে চলতে হচ্ছে। আগের মতো এখন আর সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে না।
[৪] উত্তরার আলেয়া হিজড়া বলেন, আমার এখানে অনেকে থাকে। তাদের সবার খাবারের ব্যবস্থা করতে এখন হিমশিম খাচ্ছি। উচ্চবিত্তরা এগিয়ে না আসলে আমরা কোথায় যাবো?
[৫] মিরপুরের শোনালী হিজড়া বলেন, আমরা নয় জন এক সঙ্গে থাকি। গত তিন মাসের ওপরে আমরা বাসায় বন্দি। কিছুতেই কিছু করতে পারছি না। সহযোগিতা যা পেয়েছি তা দিয়ে এতদিন চলেছে এখানকার হিজড়ারা। আমি এত দিন বাড়িতে ছিলাম। এসেছি মাত্র ঢাকায়। কিন্তু এসেই সমস্যায় পরতে হচ্ছে। সবার অবস্থা খুবই খারাপ।
[৬] বন্ধু সোস্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা রুহুল রবিন খান বলেন, এখন সারা দেশে সাড়ে তিন হাজার জনকে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পাওয়া গেছে। তাদের সাহায্য করার কাজ চলছে। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব