সিরাজুল ইসলাম : [২] বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের ‘কোভিড-১৯ র্যাপিড ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট’ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দেশব্যাপী সরকার ঘোষিত প্রায় ৯০ দিনে লকডাউনে কার্যত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়ে। দৈনিক রোজগার বা ব্যবসা বন্ধ থাকায় ৭৮ দশমিক ৩ শতাংশ পরিবারের উপার্জন কমেছে।
[৩] আট বিভাগের ৫২টি উপজেলার ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী ১ হাজার ৬১৬টি শিশু এবং ২ হাজার ৬৭১ জন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ওপর পরিচালিত জরিপ থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। শনিবার এটি প্রকাশ করা হয়।
[৪] সংস্থার অন্তরবর্তীকালীন ন্যাশনাল ডিরেক্টর চন্দন গোমেজ বলেন, খাদ্যসংকটের কারণে অপুষ্টির মতো সমস্যাগুলোয় শিশুরা অধিক মাত্রায় সংক্রমিত হচ্ছে। এতে শিশু মৃত্যুর হার বাড়তে পারে।
[৫] জরিপ এলাকার ৯৪ দশমিক ৭ শতাংশ পরিবারে খুব সামান্য অথবা কোনো খাবার সঞ্চিত নেই। ৩৮ দশমিক ৫ শতাংশ শিশু এবং ৫৮ দশমিক ৯ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি দিনে সর্বোচ্চ দুবেলা খেতে পারছেন। ৫৮ শতাংশ পরিবার খুব কম খাবার খেয়ে দিন পার করছে। প্রায় ৩৪ শতাংশ পরিবার রান্না, ধোয়া-মোছা ও পান করার জন্য নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছে না। ৫০ শতাংশ পরিবার স্বাস্থ্যবিধি উপকরণ এবং পরিষ্কার পানির অপর্যাপ্ততার কারণে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারছে না।