এএইচ রাফি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : [২] জেলায় বৃহস্পতিবার রাতে সিভিল সার্জনের অফিস প্রকাশিত পিসিআর রিপোর্টে জেলায় নতুন আরও ১০৫জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সংখ্যা ৫১১জনে দাঁড়ালো।
[৩] বৃহস্পতিবার করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের রিপোর্টে জেলার সরাইল উপজেলায় ৮জনের পজিটিভ এসেছে। এরমধ্যে উপজেলার মৎস কর্মকর্তা মায়মুনা জাহান সহ ৮জনের পজিটিভ এসেছে। মৎস কর্মকর্তার পজিটিভ রিপোর্ট আসার পর তাকে নিয়ে চলছে উপজেলা জুড়ে আলোচনার ঝড়।
[৪] স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৬জুন মঙ্গলবার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের আয়োজনে নিবন্ধিত ৫৪০জন জেলে পরিবারকে বিভিন্ন উপকরণসহ সেলাই মেশিন প্রদান করা হয়। এ উপলক্ষে স্থানীয় সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের হল রূমে সহস্রাধিক লোকের অংশ গ্রহনে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভার বেশ কয়েকদিন আগে মৎস্য কর্মকর্তা মায়মুনা জাহান করোনা ভাইরাস সনাক্ত করতে নমুনা দিয়েছিলেন সরাইল হাসপাতালে।
[৫] কিন্তু ওই অনুষ্ঠানে মৎস্য কর্মকর্তার সাথে একই মঞ্চে অতিথি হয়ে দীর্ঘ সময় থাকা সংরক্ষিত আসনে নারী সাংসদ উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর ও ইউএনও এ এস এম মোসা, ভাইস চেয়ারম্যান আবু হানিফ, সরাইল থানার ওসি এ এম এম নাজমুল আহমেদ সহকারী মৎস্য মকসুদ হোসেন সহ অন্যরাও এখন আছেন করোনা ঝুঁকিতে।
[৬] সরাইল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা.আনাস ইবনে মালেক মৎস্য কর্মকর্তা মায়মুনা জাহানের করোনা পজেটিভ আসার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ১৬ তারিখের অনুষ্ঠানে উনার সাথে যারা মঞ্চে ছিলেন। উনারা সকলেই করোনার ঝুঁকিতে আছেন। কারণ আক্রান্ত ব্যক্তির সান্নিধ্যে এখন ১০ মিনিট থাকলেই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের মাধ্যমে তাদের তালিকা নিয়ে নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করব।
[৭] সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম মোসা বলেন, মৎস্য কর্মকর্তা গত রোববারে নমুনা দিয়েছিল। আমি দিয়েছিলাম সোমবারে। যেহেতু ১৬ তারিখের অনুষ্ঠানে সকলের সাথে মৎস্য কর্মকর্তাও ছিলেন এখন আমরা সকলেই ঝুঁকিতে। আমাদের সকলের নমুনা পরীক্ষা দরকার। আমি এই বিতরণ কাজটি ১টি ইউনিয়ন করে করতে বলেছিলাম। লোক সমাগম কম হত। কিন্তু তা না করে সকল ইউনিয়নকে এক সাথে ডেকে আনায় লোক সমাগম বেশী হয়ে গেছে। কর্মকর্তা আক্রান্ত হওয়ায় চিন্তায় পড়ে গেলাম। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ