মুসবা তিন্নি : [২] ঢাকাই মসলিনের ইতিহাস অনেক প্রাচীন। প্রাচীনকালে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিলো এর সুনাম। মসলিনের জাঁকালো সোন্দর্য মন জয় করেছিলো মিশরের ফারাও, গ্রীক ও মুঘল সম্রাটদের। ইতিহাস ও মিথলজি, উইকিপিডিয়া
[৩] ফারাওরা মমিকে সমাহিত করার সময় মমির সারাশরীর ঢাকাই মসলিন দিয়ে মুড়িয়ে দিতো। গ্রীকরা তাদের দেবী মূর্তিকে পরিয়ে রাখতো মসলিন।
[৪] মসলিনের রমরমা ব্যবসার লোভে এদেশে ছুটে এসেছিলো গ্রীক, আর্মেনিয়া, আরব ও ইংরেজ বণিক।
[৫] আরবের বণিক ও ঐতিহাসবেত্তা সোলায়মান নবম শতাব্দীতে তার লেখা বই 'সিলসিলাতি –তাওয়ারিখ এ বাংলার মসলিনের নান্দনিকতার কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, হাজার বছর আগেই আরব দুনিয়ায় মসলিন কাপড়ের বার্তা পৌঁছে গিয়েছিলো। তখন জেদ্দা, মসুল ও বসরা বন্দর দিয়ে আসতো বাংলার মসলিন।
[৬] প্রাচীনকালে মসলিনকে বলা হতো গঙ্গাবস্ত্র, গঙ্গাপট্টহি। সপ্তদশ শতাব্দীতে ইংরেজরা এই বস্ত্রের নাম দেয় মসলিন। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ