কামরুল হাসান মামুন
‘জুন মাস থেকেই কারখানায় পোশাক শ্রমিক ছাঁটাই হবে। যে তুলনায় শ্রমিকদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার কথা ছিল, সংখ্যাটি কিন্তু সেই তুলনায় খুবই কম। কারণ গরিব মানুষের এক ধরনের শক্তি থাকে’ - বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক।
৩০ বছর ধরে এই শ্রমিকদের ঘামে যে লাভ করেছেন ওইসব মুনাফা কোথায় রেখেছেন যঁয? প্রথম বক্তব্য কিন্তু দেশে অরাজগতা সৃষ্টির আওয়াজ পাওয়া যায়। সরকারকে ভয় দেখিয়ে আবার কিছু প্রণোদনা নেওয়ার পায়তারা করছে বলে আমার ধারণা। কতো বড় দুষ্ট মানুষ চিন্তা করুন একদিকে শ্রমিকদের চাকরিহারা করার কথা বলছেন, আবার আরেকদিকে তারা গরিব বলে গরিবি শক্তির বলে করোনায় কম আক্রান্ত হওয়ার কথা বলছেন। তিনি কি কোনো গবেষণা বা ডাটা নিয়ে কথা বলেছেন? এই যে আমরা করোনা টেস্টের জন্য দীর্ঘ লাইন দেখি, করোনা রোগী নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির জন্য হাসপাতালে হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি দেখি, সেই প্রতিযোগিতায় কি গরিবদের কোনো স্থান আছে? টেস্ট করানোর বিশাল লাইনে দাঁড়ানোর সক্ষমতা ও ধৈর্য কি গরিবদের আছে?
তাদের টেস্ট করাতে হলে টেস্টিং সিস্টেমকে তাদের কাছে নিয়ে যেতে হবে। এতোদিন সরকারি হাসপাতালগুলো গরিব মানুষদের জন্য ছিল আর বড়লোকদের জন্য ছিল প্রাইভেট হাসপাতাল আর তাদের মতো বেশি বড়লোকদের জন্য ছিল সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড আর ভারতের বিখ্যাত হাসপাতাল। এখন তারাই হয়ে গেছে গরিবের হাসপাতালের রোগী। সেখানে কি এখন আর গরিব যেতে পারবে বা পারে? সমস্যাটা এখানে। আমরা কি দেখছি না আনোয়ার খান হাসপাতালে কি ঘটেছে? কি অমানবিকভাবে ওই হাসপাতাল এখন আপনাদের সাথে কর্পোরেট ডিলে গিয়ে টাকার জন্য সাধারণ মানুষদের কিভাবে ঠকাচ্ছে। এইসব সমস্যাতো আপনারা অনুধাবন করতে পারবেন না। উল্টো এখন তাদের নিয়ে মস্করা করছেন। তারা হাসপাতালে আসছে বলে, রোগ সনাক্ত হচ্ছে বলে আপনি বলছেন তাদের একধরণের ঐশী শক্তি আছে।