তপু সরকার : [২] শেরপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার বনকুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিরণ চন্দ্র বর্মনকে স্বাক্ষর জালিয়াতির ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায় ।
[৩] তিনি দুই শিক্ষককে এমপিওভুক্তি করাতে সভাপতির অগোচরে তার স্বাক্ষর জালিয়াতির ঘটনায় ধরা খেয়েছেন বলে এলাকায় বলে । স্বাক্ষর জালিয়াতির ঘটনায় শোকজের সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারায় গত মঙ্গলবার (২ জুন) পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে বরখাস্ত করা হয়।
[৫] জানা যায়, পাঠদানে উচ্চ বিদ্যালয় হলেও জুনিয়র সেকশন (৮ম শ্রেণি) পর্যন্ত এমপিও নিয়ে কার্যক্রম চলে আসছিল বনকুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের। সম্প্রতি সরকার নতুন এমপিওভুক্তির তালিকা প্রকাশ করলে ওই তালিকায় বনকুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের উচ্চ সেকশন (৯ম ও ১০ম) পর্যন্ত এমপিওভুক্তি হয়।
[৬] সে অনুযায়ী উচ্চ সেকশনে পাঠদানে নিয়োজিত মো.কফিল উদ্দিন (১০১৩০৪৩০৯), নূর নাহার (১০১৩০৪৩১১), ফাতিমা শিরিন ও বিকাশ (হিরণ) চন্দ্র বর্মন (১০১৩১০০৭৩) এ চার শিক্ষকের নামে এমপিও করানোর লক্ষ্যে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি গোপাল চন্দ্র সরকার স্বাক্ষর করেন।
[৭] কিন্তু পরবর্তীতে এমপিওভুক্তির তালিকায় উপরোক্ত চারজনের সঙ্গে মোঃ হারুনুর রশিদ (১০১৩০৪৩০৭) ও মোঃ মাসুদ রানা (১০১৩০৪৩০৪) নামে আরও দুই শিক্ষক অন্তর্ভূক্ত হয়ে মোট ৬ শিক্ষককের নাম উঠে এলে থলের বিড়াল বেড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে কানাঘোঁষা শুরু হয়। একপর্যায়ে সভাপতির দৃষ্টিগোচর হলে তিনি গত ২১ মে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভা আহবান করেন।
[৮] সভার সিদ্ধান্ত মতে স্বাক্ষর জালিয়াতি করে অবৈধভাবে অপরিচিত দুইজনকে শিক্ষক হিসেবে এমপিও করানোর কারণে ২৩ মে প্রধান শিক্ষক কে সাতদিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর শোকজ প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে ৩১ মে প্রধান শিক্ষক হিরণ চন্দ্র বর্মণ শোকজের জবাব দাখিল করেন।
[৯] কিন্তু জবাবে স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়ে নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে ‘কে বা কারা’ করেছে বলে উল্লেখ করেন। ফলে ২ জুন পুনরায় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভা আহবান করা হয়। সভায় প্রধান শিক্ষকের শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একইসঙ্গে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য রোকশানা পারভিন ও মোফাজ্জল হোসেন এবং শিক্ষক প্রতিনিধি শফিকুল ইসলামকে সম্পৃক্ত করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
[১০] এ তদন্ত কমিটিকে পরবর্তী সাত দিনের মধ্যে উপরোক্ত ঘটনার বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।
বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা জানান, মো.হারুনুর রশিদ ও মো.মাসুদ রানা কখন কিভাবে নিয়োগ হয়েছেন তা তারা জানেন না। এমনকি বিদ্যালয়ে কোনদিন তাদের আসতেও দেখা যায়নি। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ