ডেস্ক রিপোর্ট : [২] পাকিস্তানি প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন নয়ন মিঁয়া আবদুল্লাহ (২৬) নামে বাংলাদেশি এক যুবক। অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে পাঞ্জাবের অমৃতসর পর্যন্ত পৌঁছে যান তিনি। ইচ্ছে ছিল ওয়াগাহ সীমান্ত অতিক্রম করে পাকিস্তান ঢুকবেন। কিন্তু তার আগেই ধরা পড়েন ভারতীয় সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী বিএসএফের হাতে।
[৩] ভারতীয় গণমাধ্যম ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ তাদের প্রতিবেদনে জানায়, করোনাভাইরাস ও লকডাউনের বাধা তুচ্ছ করে বাংলাদেশ থেকে ভারতের কলকাতায় আসেন নয়ন মিঁয়া আবদুল্লাহ। সেখান থেকে আরও দুই হাজার কিলোমিটার অতিক্রম করে পৌঁছান পাঞ্জাবের অমৃতসরে। সেখান থেকে ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্তে আসেন করাচিতে যাওয়ার উদ্দেশে। কিন্তু আত্তারিতে আসার পর তাকে ধরে ফেলে বিএসএফ জওয়ানরা। প্রেমিকার কাছে যেতে পারেননি আবদুল্লাহ। এখন কারাগারে আছেন তিনি।
[৪] বিএসএফ থেকে পাঠানো এক বিবৃতির বরাত দিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, পাকিস্তান সীমান্তের কাছে উদ্দেশ্যহীনভাবে বিভ্রান্তের মতো আবদুল্লাহকে ঘুরতে দেখে বিএসএফ সদস্যদের সন্দেহ হয়। এরপরই তাকে আটক করা হয় এবং শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। তার কাছে বাংলাদেশি সিমসহ একটি মোবাইল ফোন এবং কিছু বাংলাদেশি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
[৫] জিজ্ঞাসাবাদে আবদুল্লাহ জানায়, তিনি বাংলাদেশের শরিয়তপুরের বাসিন্দা। পাকিস্তানের করাচিতে তার প্রেমিকা বসবাস করেন। তাকে বিয়ে করার জন্য পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়াই তিনি পাকিস্তান সীমান্তের কাছে পৌঁছে যান।
[৬] আবদুল্লাহ আরও জানান, পাকিস্তানে তার এক আত্মীয় থাকার সুবাদে প্রেমিকার সঙ্গে পরিচয় হয়। একটা সময় দুই পরিবারই একে অপরকে জানতো। তাদের পরিবারের সাথে এক সময় সুসম্পর্ক ছিল ওই পাকিস্তানি তরুণীর পরিবারের। কিন্তু ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর আবদুল্লার গোটা পরিবার বাংলাদেশ চলে আসার পর থেকে দুই পরিবারের সম্পর্কে ছেদ ঘটে। সম্প্রতি সামাজিকমাধ্যমের কল্যাণে পাকিস্তানি তরুণীর সাথে নতুন করে পরিচয় শুরু হয় তার। সেই সময় থেকে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা জন্ম নেয়। ভিডিও কলে ওই তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় আবদুল্লাহ। তিনি প্রস্তাব গ্রহণ করলে শুরু হয় আব্দুল্লাহর অনিশ্চিত ভ্রমণ।
[৭] আব্দুল্লাহকে আটক করে পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইতিমধ্যেই ঘারিন্দা থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
[৮] থানার কর্মকর্তা গগনদীপ সিং জানান, আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ফরেনারর্স আইন ও পাসপোর্ট আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টাও করছেন তারা।